
বাংলাদেশে লঞ্চ হলো সকল পালসার প্রেমীদের বহুল প্রতিক্ষীত বাইক বাজাজ পালসার F250। বাইকটি লঞ্চ হওয়ার পর থেকে বাইকারদের মধ্যে একটি নতুন উন্মাদনা ছড়িয়ে পরেছে। তাই সবাই অনেক আগ্রহী যে এই বাইকটির দাম কত?। নতুন এই বাইকটিতে কি কি আছে? সকল খুটিনাটি সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন এই আর্টিকেল থেকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে ঢাকা বাইক শে তে বাংলাদেশে দুইটি বাইক লঞ্চ হয়েছে। তার মধ্যে বাজাজ পালসার F250 একটি। bajaj pulsar n250 এবং bajaj pulsar f250 এর ইঞ্চিন ও পারফরমেন্স একই। বাজাজ পালসার এফ২৫০ এর কিছু আপডেট এনেছে কোম্পানি। চোখে পড়ার মতো। কোন কোন আপডেট এনেছে বাইকটিতে তা জেনে নিন।
বাজাজ পালসার যে আপডেট গুলো আনা হয়েছে
নতুন বাজাজ পালসার F250-কে আরও আধুনিক, কর্মক্ষম এবং রাইডার-বান্ধব করে তুলতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আনা হয়েছে। বাইকটির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- সেমি-ফেয়ারিং ডিজাইন: বাইকটিতে একটি নতুন সেমি-ফেয়ারিং যুক্ত করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র এর স্পোর্টি লুককেই বাড়িয়ে দেয় না, বরং বাতাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দীর্ঘ ট্যুরিংয়ে রাইডারকে উন্নত পারফরম্যান্স ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
- হ্যান্ডেলবারের পরিবর্তন: ট্যুরিং অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক এবং রাইডিং পজিশনকে এরগোনোমিক করতে হ্যান্ডেলবারেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি বাইকের নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ করে তোলে।
- নতুন এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: রাইডার ইনফরমেশন সিস্টেমের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন ডিজিটাল এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার সংযোজন করা হয়েছে। এটি রাইডারকে আরও স্পষ্ট এবং বিস্তারিত তথ্য প্রদানে সক্ষম।
- প্রশস্ত টায়ার: নিরাপত্তা ও রাস্তার সঙ্গে উন্নত গ্রিপ নিশ্চিত করতে বাইকটিতে তুলনামূলকভাবে প্রশস্ত টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ভেজা ও শুষ্ক উভয় রাস্তাতেই স্থিতিশীলতা বাড়ায়।
- ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (TCS): সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণত চোখে দেখা যায় না এমন একটি সংযোজন হলো অত্যাধুনিক ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম। এই নিরাপত্তা ফিচারটি পিছলে যাওয়া রোধ করে, বিশেষ করে বৃষ্টি বা পিচ্ছিল রাস্তায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা রাইডারের আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে।
Bajaj Pulsar F250 এর বাংলাদেশে দাম কত?
বাজাজ পালসার F250 বাইকটির বর্তমানে বাংলাদেশে দাম রয়েছে ৩,৫০,০০০ টাকা মাত্র। আপনি যদি পালসার নতুন মডেলের একটি বাইক কিনতে চান তাহলে একটি বাইকটি কিনতে পারেন। কারণ এই দামে পালসার কোম্পানির নতুন এই মডেলটি অনেক ভালো পারফরমেন্স দিচ্ছে।
বাজাজ পালসার F250 বাইকটির ইঞ্চিন ও পারফরমেন্স
বাজাজ পালসার F250 এ রয়েছে ২৪৯ সিসি শক্তিশালী ইঞ্জিন যা ২৪.১ বিএইচপি পাওয়ার ও ২১.৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। এই বাইকটি সর্বোচ্চ ১৩২ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে এবং ৫-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের সাথে এসিস্ট অ্যান্ড স্লিপার ক্লাচ রয়েছে। অয়েল কুলিং সিস্টেম ও BS6 ইমিশন স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলায় এটি দীর্ঘ সময় ভালো পারফরমেন্স দেয় এবং পরিবেশবান্ধব।
আরো পড়ুন: বাজাজ ডোমিনার 400 এর নতুন ভেরিয়েন্ট বাজারে – থাকছে কী কী চমক, দেখে নিন!
বাজাজ পালসার বাইকটির মাইলেজ কেমন?
পালসার F250 এর মাইলেজ খুবই চমৎকার – ARAI টেস্টে ৩৯ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং বাস্তব ব্যবহারে ৩৮ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ পাওয়া যায়। এর ফলে একবার ট্যাংক ভর্তি করলে প্রায় ৫৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো সম্ভব। দৈনিক অফিস-আদালত থেকে শুরু করে লম্বা ভ্রমণ – সব ক্ষেত্রেই এটি জ্বালানি খরচ কমিয়ে রাখে।
ব্রেকিং ও সেফটি ফিচার
নিরাপত্তার দিক থেকে এই বাইকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। সামনে ৩০০ মিমি ও পেছনে ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল ABS এর সাথে। ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল ও টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে যা গ্রিপ ও স্থিতিশীলতা বাড়ায়। টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন ও রিয়ার মনোশক সাসপেনশন রাইডিং কমফোর্ট নিশ্চিত করে এবং বিভিন্ন রাস্তায় মসৃণ চালনার অভিজ্ঞতা দেয়।
বাজাজ পালসার F250 কী ধরনের মোটরসাইকেল?
বাজাজ পালসার F250 হল একটি আধুনিক সেমি-ফেয়ার্ড স্ট্রিট মোটরসাইকেল যা দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই মোটরসাইকেলটি একটি উন্নত ইঞ্জিন প্রযুক্তি এবং সর্বশেষ রঙের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে যা এর আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করেছে।
বাজাজ পালসার F250 মোটরসাইকেলটি কোথায় নির্মিত হয়?
বাজাজ পালসার মোটরসাইকেলটি নির্মিত হয় ভারতে।
বাজাজ পালসার F250 বাইকটির সর্বোচ্চ গতি কত কিলোমিটার পর্যন্ত পাওয়া যায়?
Bajaj pulsar F250 বাইকটির সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যায় ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার এর মত।
বাজাজ পালসার F250 মোটরসাইকেলটির ইঞ্চিন পাওয়ার কত?
Bajaj pulsar F250 বাইকটির ইঞ্চিন পাওয়ার হলো ২৪৯ সিসি।
Bajaj pulsar F250 বাইকটির মাইলেজ কত?
এই বাইকটি শহর এবং মহল্লায় ১ লিটারে ৩৫ কিলোমিটার যাওয়া যায়। আর হাইওয়েতে চালালে ৪৯ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যায়।
বাজাজ পালসার এফ২৫০ বাইকটিতে কি এবিএস সিস্টেম আছে?
হ্যাঁ! এই বাইকটিতে ABS রয়েছে। বাজাজের এই মডেলে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম রয়েছে।
বাজাজ পালসার F250 বাইকটির মোট ওজন কত?
Bajaj pulsar f250 বাইকটির মোট ওজন হলো ১৬৪ কেজি।
দেশে বাজাজ পালসার মোটরবাইকের সরকারি ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে?
বর্তমানে বাংলাদেশে বাজাজ কোম্পানির বাইক এবং স্কুটার গুলো উত্তরা মটোর দেশে সরাসরি আমদানি করছে।