
রাজকীয় বাইকের জগতে পরিচিত একটি নাম হলো Royal Enfield (রয়েল এনফিল্ড)। Royal Enfield price in bd 2025? রয়েল এনফিল্ড ৩৫০ সিসি ২০২৫। বর্তমানে রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ দাম হলো ৩,৪০,০০০ টাকা মাত্র। আর বাকি মডেলের দাম গুলো যদি জানতে চান তাহলে নিচে থেকে দেখুন।
Royal Enfield (রয়েল এনফিল্ড) বাইকের কয়টি মডেল ও কি কি?
রয়েল এনফিল্ড মডেলের চারটি বাইক রয়েছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। চারটি মডেলের দাম হলো
- রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০
- রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০
- রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০
- রয়েল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে কবে আসবে?
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশের বাজারে চলে এসেছে। বাংলাদেশের সনাম ধন্য কোম্পানি ইফাদ গ্রুপ রয়েল এনফিল্ড রপ্তানি করেছেন। তারা সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে বর্তমানের জনপ্রিয় এবং রাজকীয় বাইক রয়েল এনফিল্ড ৩৫০ সিসি। রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত 2025।
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত ২০২৫ পিক?
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশের বাজারে ৪টি মডেলের বাইকই লঞ্চ করেছেন। তাদের মডেল অনুযায়ী নিচে দাম ও ছবি দেওয়া হলো
১। রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ প্রাইস ইন বাংলাদেশ (Royal Enfield Hunter 350 Price)

রয়েল ইনফিল্ড প্রাইজ হলো ৩,৪০,০০০ হাজার টাকা। বাইকের ফিচার স্টাইল দেখলে এই টাকা অনেক কম দাম মনে হবে।
২। রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ প্রাইস ইন বাংলাদেশ (Royal Enfield Classic 350 Price)

রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত ২০২৫? রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর দাম হলো ৪,০৫,০০০ টাকা।
৩। রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ প্রাইস ইন বাংলাদেশ (Royal Enfield Bullet 350 Price)

রয়েল এনফিল্ড বুলেট হলো এই কোম্পনির জনপ্রিয় একটি নাম। এই বাইকের দাম হলো ৪,১০,০০০ মাত্র।
৪। রয়েল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০ সিসি এর দাম কত? (Royal Enfield Meteor 350 Price)

রয়েল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০ এর বাংলাদেশের বর্তমান দাম হলো ৪,৩৫,০০০ হাজার টাকা।
কোন বাইকটি কোন সময় ব্যবহারের জন্য ভালো হবে অথবা কাদের জন্য কোন বাইকটি ভালো হবে?
উপরের চারটি বাইকে একই ইঞ্চিন ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকের ইঞ্চিন হলো 350cc J-engine। তাছাড়াও এই বাইকে 20BHP এবং 27nm torque রয়েছে। তা সত্যেও আপনি এই চারটি বাইক চালানোর সময় চার রকমের ফিল পাবেন। যার জন্য বাইকের দাম ও আলাদা।
রয়েল এনফিল্ড বাইক গুলো সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার। তবুও এর দাম কেন বেশি। দেখুন বাইক দু রকম হয় একটি হলো ১. স্পোর্টস বাইক ও ২. ক্রজার বাইক। স্পোর্টস বাইক গুলোর গতি বেশি থাকে। এবং ক্রজার বাইক গুলো অনেকক্ষণ চালানো যায় বেশি কষ্ট হয় না। দুরে যাওয়ার জন্য এই বাইক গুলো অনেক ভালো কাজে দেয়। রয়েল এনফিল্ড ৩৫০ সিসি।
আরো পড়ুন: Ausek AT-M82TR: কম দামে ভালো ক্যামেরা ২০২৫ সালে
এগুলোই কি বাইকের দামি হওয়ার কারণ? না আসলে রয়েল এনফিল্ড বাইক গুলো দামি হওয়ার কারণ হলো তার ইঞ্চিন। বাইকের তিন ধরনের ইঞ্চিন হয়ে থাকে।
- স্কোয়ার ইঞ্চিন
- আন্ডার স্কোয়ার ইঞ্চিন
- ওভার স্কোয়ার ইঞ্চিন
কেটিএম এর মতো যে বাইক গুলো রয়েছে তার ইঞ্চিন হলো ওভার স্কোয়ার ইঞ্চিন। যা প্রতিটি স্টোকে অল্প দুরত্বে যায় বাইকটি আর রয়েল এনফিল্ড বাইকের ইঞ্চিন হলো আন্ডার স্কোয়ার ইঞ্চিন অর্থাৎ প্রতিটি স্টোকে অনেক দুর যায়। এই ধরনের বাইক কম স্পিডে বেশি পাওয়ার ডেলিভারি করতে পারে।
এছাড়াও এই বাইকের কম্প্রেসন রেসিও, গেয়ার রেসিও ইত্যাদি কারণে অন্যান্য বাইকের থেকে এটি আলাদা। প্রথমেই বলেছি এই বাইক হলো একটি রাজকীয় বাইক। তাই এই বাইকটি সবার কেনা উচিত নয়।
কারণ এই বাইকের দাম যেমন বেশি তেমনি কোন একটি পার্স পরিবর্ত বা সার্ভিসিং করাতে গেলে খরচ বেশি হবে। তবুও কেন দাম বেশি। তার কারণ হলো এর ফিল। এই বাইটি চালালে মনের মধ্যে একটি আলাদা ভাব চলে আসে। যা অন্য বাইক দেয় না।
সিনেমা গুলোতে দেখবেন নায়করা এই ধরনের বাইক বেশি চালায়। কারণ বুঝতে পেরেছেন।