জাপানিদের গড় আয়ু ৮৪ বছর। একজন জাপানি বৃদ্ধ অবস্থায়ও সকল ধরনের কাজ করতে পারে। তারা সহজে কোন রোগে আক্রান্ত হয় না। তাদের জীবন যাপনের মধ্যে কি এমন সিক্রেট রয়েছে যার ফলে তারা সব সময় সুস্থ থাকে এবং বেশি দিন বাঁচে। জাপানিদের জীবন যাপনের ৭টি সিক্রেট বিষয় আপনাদের সামনে আজকে তুলে ধরবো। যা ফলো করলে আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন এবং দীর্ঘদিন বাঁচতে পারবেন।
১০০ বছর বাঁচতে জাপানিদের ৭টি টিপস
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল! তাই আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে পারেন তাহলে আপনি অনেকদিন বাঁচতে পারবেন। নিচে যে সাতটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি এই সাতটি বিষয়ে ফলো করেন তাহলে দীর্ঘদিন আপনি চির তরুণ থাকবেন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে যার ফলে সহজে আপনি কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না এবং আপনার যদি মেদ বা ভুড়ি থাকে সেটাও কমে যাবে।
১। প্রতিদিন ১২ ঘন্টা না খেয়ে থাকা
এটা হল জাপানিদের হালকা থাকার একটি টিপস বেশিরভাগ জাপানিরাই ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকে এবং ১২ ঘণ্টা খায়। রাতে ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করতে হবে। দিনে যে ১২ ঘন্টা সময় থাকে তার মধ্যে আপনি নিজের ক্ষুধা অনুযায়ী খাবেন। তারপর ১২ ঘন্টার একটি গ্যাপ দিবেন যে সময় আপনি কোন খাবার খাবেন না। যার ফলে আপনার শরীর নতুন কোষ তৈরি করতে পারবেন।
আপনি যখন খাবার খান তখন শরীর সেই খাবার হজম করার কাজ করে। যার ফলে নতুন কোন তৈরি হয় না।
২। গাঁজানো খাবার
প্রতিদিন গাঁজানো খাবার খেয়ে থাকে জাপানিরা তাই আপনিও প্রতিদিন আপনার খাওয়ার তালিকায় যোগ করুন গাঁজানো খাবার। জাপানিরা তাদের গাজানো খাবার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিশো স্যুপ বা ন্যাটো খেয়ে থাকে। এই খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর ভালো প্রবায়োটিক থাকে। এই খাবারগুলো খেলে গাট সিস্টেম বা হজম শক্তি ভালো থাকে।
আরো পড়ুন: অর্গানিক উপায়ে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখার অব্যর্থ উপায়
এই খাবার গুলো বাংলাদেশে মানুষের কাছে ভালো লাগবে না। কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী। আপনি গাঁজানো খাবার গুলোর মধ্যে পান্তা ভাত বা টক দই খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি গাঁজানো খাবার সম্পর্কে দেখতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন: গাঁজানো খাবার তালিকা
৩। মার যুক্ত ভাত খাওয়া
আটা জাতীয় খাবার থেকে ভাত বেশি খেতে হবে। ভাত খেতে হবে মার যুক্ত ভাত। ভাতের মার ফেলে ভাত খেলে অর্ধেক পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাই আপনি এই বিষয়টি মেনে চলবেন যদি শরীর সতেজ রাখতে চান।
৪। বেশি বেশি স্যুপ খাওয়া
জাপানিরা খাওয়ার আগে স্যুপ খেয়ে নেয়। কারণ খাওয়ার আগে যদি স্যুপ খাওয়া হয় তাহলে বেশি স্লিম থাকা যায়। স্যুপের মধ্যে জল ও বিভিন্ন সবজী থাকে। যাতে ক্যালরি কম থাকে। ফলে ওজন ঠিক থাকে। এক্সট্রা ডায়েট করার প্রয়োজন হয় না।
৫। আরামদায়ক স্নান
আরামদায়ক স্নান তাদের কোন রুটিন না রিচ্যুয়াল। তারা যখন স্নান করে তখন সেই জলের মধ্যে কোন ইপসম লবণ, ফুলের পাপড়ি ইত্যাদি দিয়ে থাকে। আর এই জল দিয়ে যখন স্নান করে তখন অনেক বেশি আরাম লাগে। নিজেকে হালকা লাগে, শরীরের মধ্যে অন্যরকম একটি ভালোলাগা কাজ করে। ফলে ঘুম ভালো হয়, কাজে মন বসে, রক্ত চলাচলও ভালো হয়।
তাই অবশ্যই এখন থেকে চেষ্টা করবেন যে সপ্তাহে অত্যন্ত দুইদিন উষ্ণ গরম জলের মধ্যে ইপসম লবন দিয়ে স্নান করতে।
৬। সিজেনাল খাবার
জাপানিরা তাদের খাবারের মধ্যে অনেক রকম আইটেম রাখে বিশেষ করে সবজী। আর তারা খাবার গুলোতে কম মশলা ব্যবহার করে সিদ্ধ করে অথবা হালকা মশলা দিয়ে খাবার গুলো পরিবেশন করে খায়।
সিজেনাল খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হরমোন ঠিক থাকে এবং পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে।
৭। প্রতিদিন সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা
জাপানিরা প্রতিদিন সকালে একই সময় ঘুম থেকে উঠে। ঘুম থেকে উঠে কোন চিৎকার চ্যাচামেচী করে না। শান্ত ভাবে সকাল শুরু করে। সকালে সবাই নিয়ম করে এক্সারসাইজ করে। যার ফলে তারা দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে। কোন রোগব্যাধি হয় না, এই কারণে জাপানিরা ১০০ বছর বাচে অনায়াসে।












