সবাই গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন পাবেন সহজেই

Share This Post
গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

একজন মানুষের সুন্দর একটি বাড়ি থাকবে এই স্বপ্ন সবাই দেখে। কিন্ত টাকার অভাবে তা পুরন করতে পারছেন না। যার কারণে আজকে আমি আপনাদের জানাবো গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন পাবেন সহজেই। 

কোন কোন ব্যাংক গ্রামে বাড়ি নির্মাণের জন্য লোন দেয়?

হোম লোন দিয়ে থাকে অনেক ব্যাংক যেমন: সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক ইত্যাদি। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব যে প্রতিষ্ঠানের সাথে তার নাম হলো বাংলাদেশ  হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন।

সবচেয়ে সহজ নিয়মে এবং সবাই গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন পাবেন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে

বর্তমানে বাংলাদেশের যেত প্রতিষ্ঠান রয়েছে হোম লোন দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সবচেয়ে কম সুদে সহজ নিয়মে গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। তাহলে আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে আপনি এই হোম লোন পাবেন।

গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোনের যোগ্যতা কি লাগবে?

গ্রামে বাড়ির করার জন্য ব্যাংক লোনের যোগ্যতা ও শর্তাবলী বা বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন থেকে লোন নেওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে।

  • আপনার জমির দলিলপত্র সঠিক থাকতে হবে।
  • যে এলাকায় বাড়ি নির্মান করবেন সেখানে সরকারের অনুমোদিত বাড়ি নির্মানের প্লান থাকতে হবে। 

এই প্রধান দুই কারণ তারা বেশি দেখে আর কমন যে কারণ গুলো সবাই দেখে সেগুলো তো থাকতে হবে। যেমন: 

  • বাংলাদেশের নাগরিক কিনা?
  • নিয়মিত আয় আছে কি না?
  • অন্য কোথাও লোন আছে কি না?
  • কিস্তি চালানোর সক্ষমতা আছে কিনা? ইত্যাদি

লোন আবেদন করার ধাপসমূহ: সহজ গাইডলাইন

গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন এর ধাপ সমুহ হলো আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেই ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর কথা বলছি সেহেতু এটা ‍দিয়ে বোঝাই।

আপনি প্রথমে বাংলাদেশে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি আপনার জেলায় পেয়ে যাবেন এদের অফিসটি। বাংলাদেশের সকল জেলায় তাদের শাখা রয়েছে। 

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং জোনাল অফিস সমুহের ঠিকানা

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং শাখা অফিস সমুহের ঠিকানা

তারপর তাদের সকল তথ্য গুলো দিতে হবে। 

যে লোনটি আপনি পাবেন 

গ্রামে বাড়ি নির্মানের জন্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন এর যে অপশনটি আপনার জন্য প্রয়োজন তা হলো স্বপ্ননীড়। 

স্বপ্ননীড় এর সুবিধা গুলো হলো 

  • দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে মানসম্মত এলাকার জন্য সবাই এই হোম লোনটি পাবেন। 
  • স্বল্প আয়ের লোকরা পাবেন এই হোম লোনটি। গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন। 
  • মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ২৫ বছর। 
  • এই লোনটি আপনি একক ভাবে পাবেন তাছাড়া গ্রুপ ভাবেও লোনটি নিতে পারবেন।

গ্রামে বাড়ি নির্মাণে ব্যাংক লোনের সুদের হার ও পরিশোধ পরিকল্পনা

আপনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন থেকে গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নিলে সুদের হার দিতে হবে সর্বনিম্ন ৮%। যা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কম। তাই আপনি বাড়ি নির্মানের জন্য লোন নিলে কত সুদ দেওয়া লাগবে তা দেখে নিবেন। আর সেই অনুযায়ী পরিশোধের পরিকল্পনা করতে হবে। আর আপনি পরিশোধ করার জন্য ২০-২৫ বছর সময় পাবেন। 

আরো পড়ুন: গ্রামে বসে বছরে ১ লক্ষ টাকা বাড়তি আয় করতে পারবেন এই ২টি কাজ করলে

সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের হোম লোন সুবিধা: তুলনামূলক বিশ্লেষণ

সরকারি ব্যাংক: 

সরকারি ব্যাংক গুলো সাধারনত লোনের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগায়। সরকারি ব্যাংক গুলোর লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার একটু তুলনা মূলক কম হয়ে থাকে। 

বেসরকারি ব্যাংক: 

বেসরকারি ব্যাংক গুলো লোন দিয়ে থাকে কম সময়ের মধ্যে। কিন্তু তারা সুদের হার বেশি নিয়ে থাকে। 

সুদ বিহীন হোম লোন গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারী বেশি। তাই সবাই সুদ বিহীন লোন খুজে থাকে। তাই বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন একটি প্রকল্প রেখেছেন তা হলো: মজলিস। 

মজলিস এই লোনটি নিতে পারেন যারা সুদ বিহীন হোম লোন নিতে চাচ্ছেন। স্বপ্ননীড় প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পে ও সকল সুবিধা পাবেন। 

আমাদের ফেসবুক পেইজ ফলো করে রাখুন নতুন পোস্ট পেতে।

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন লোন পাশ হতে কত সময় লাগে?

গ্রামে বাড়ি করার জন্য আপনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন থেকে লোন করলে সর্বোচ্চ ১ মাসের মধ্যে আপনার লোনটি পাস হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে তাদের একটি অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের একটি লোন পাস হওয়ার সময় আপনার একটি লোন ট্রাকিং ফাইল নং দেওয়া হবে। 

একটি অফিস বা একজন অফিসার সর্বোচ্চ কত সময় পর্যন্ত সেই ফাইলটি রাখতে পারবে তার একটি তারিখ থাকে। সেই সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত ফাইলটি গ্রিন সিগনাল থাকে। যখন তারিখ পার হয়ে যায় তখন সেই ফাইলটি রেড ফাইল হয়ে যায়। 

আর যখন একটি ফাইল রেড হয়ে যায়। তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। আর উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাগণ ও দেখতে পারবেন। যার ফলে তারা কোন ফাইল রেড হলেই তাড়া দেয়। তাই আপনার লোনটি যে তারিখ পর্যন্ত সময় নেবে কর্তপক্ষ তার থেকে বেশি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই সিস্টেম অন্য কোন ব্যাংকের নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *