৫০ হাজার টাকা লোন নিতে চাই – কিভাবে আমি সহজেই লোন বা কিস্তি পাবো

Share This Post
৫০ হাজার টাকা লোন নিতে চাই

মানুষের প্রতিনিয়ত নানা প্রয়োজনে লোন দরকার হয়ে থাকে। আজকে আমরা জানাবো আপনি সহজেই ৫০ হাজার টাকা লোন নিতে চাইলে কোথা থেকে লোন পাবেন। একটি ব্যবসা বা নিজের কোন প্রয়োজনে মানুষের প্রতিনিয়ত টাকা-পয়সা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই প্রয়োজনের সময় কোন জায়গা থেকে সহজেই দ্রুত লোন পাওয়া যায় এই নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। এই প্রশ্নেরই উত্তর দিব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তাহলে আপনি যদি এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি করতে হবে

লোন কোন কোন জায়গা থেকে পাওয়া যায়

মানুষের প্রয়োজনে অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান লোন দিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে আমরা চার ভাগে ভাগ করতে পারি।

  1. প্রথমত সরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান মানুষকে বিভিন্ন সময় আর্থিক সাহায্য করে এবং লোন দিয়ে থাকেন।
  2. তারপরে দেশের সকল ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন।
  3. এছাড়াও লোন দিয়ে থাকেন বিভিন্ন এনজিও।
  4. মানুষ আরেক ভাবে লোন বা তাদের এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। তা হলো গ্রামে বা বাড়ির পাশে অন্য কেউ ব্যাক্তি মালিকানা ভাবে সুদে টাকা দিয়ে থাকে। এটাও একটি লোন।

কম সময়ে লোন পাওয়া যায় কোথা থেকে

উপরে যে চারটি পথ রয়েছে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে। তার মধ্যে সবচেয়ে ৪ নাম্বারের যে উপায় সেখান থেকেই অতি সহজেই একটি লোন বা সুদে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এই মাধ্যম থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। কারণ উপরের সবগুলো উপায়ে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে মালিকানা যারা লোন দিয়ে থাকে তারাই সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্ট নিয়ে থাকে।

আপনি যদি কম সময়ে একটি লোন নিতে চান তাহলে এই মাধ্যম থেকে লোন নিতে পারেন। কিন্তু এই মাধ্যম থেকে সব সময় না লোন নেওয়াই ভালো। কারণ এখানে তারা ইন্টারেস্ট বা সুদের হার অনেক বেশি নিয়ে থাকে তাই আপনাকে টাকা দেওয়ার সময় অনেক কষ্ট দেবে।

কোন জায়গা থেকে সহজেই লোন পাওয়া যাবে?

ব্যক্তির থেকে টাকা না নিয়ে যে মাধ্যম থেকে লোন পাবেন তা হল এনজিও অর্থাৎ তিন নম্বর মাধ্যম থেকে। কারণ এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের মূল কাজই থাকে লোন বিতরণ করা এবং প্রতি সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে কিস্তি সংগ্রহ করা। 

তাই আপনি আপনার গ্রামে বা বাড়ির আশেপাশে যে এনজিও গুলো রয়েছে সেখানে প্রথম যদি সদস্য হন তাহলে সেখান থেকে অতি সহজেই একটি লোন উত্তোলন করতে পারবেন। 

এই ধরনের এনজিওর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো 

  • ব্রাক
  • কারিতাস 
  • ব্যুরো বাংলাদেশ 
  • আশা
  • পদক্ষেপ
  • টিএমএসএস 
  • আরআরএফ ইত্যাদি। 

আপনি যদি ৫০ হাজার টাকার লোন নিতে চান তাহলে অতি সহজেই এই এনজিওগুলো থেকে লোন নিতে পারবেন।

আপনি যদি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নেন তাহলে যে সুধ বা মুনাফা দেওয়া লাগবে তা ব্যক্তি মালিকানা থেকে কম। কিন্তু ব্যাংক থেকে অনেক বেশি সুদ বা মুনাফা নিয়ে থাকে এই এনজিও গুলো।

আরো পড়ুন: গ্রামে বসে বছরে ১ লক্ষ টাকা বাড়তি আয় করতে পারবেন এই ২টি কাজ করলে

কম সুদে বা মুনাফায় ৫০ হাজার টাকার লোন নেওয়ার জন্য আর কি করা যায়

এনজিও থেকে যদি আপনি কম সুদ বা মুনাফার লোন নিতে চান তাহলে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন।  আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে যে সকল ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন তা হল 

  • অগ্রণী ব্যাংক 
  • কৃষি ব্যাংক 
  • সোনালী ব্যাংক 
  • রূপালী ব্যাংক 
  • ইসলামী ব্যাংক 
  • গ্রামীণ ব্যাংক 
  • পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক 
  • এক্সিম ব্যাংক 
  • এবি ইত্যাদি।

এই সকল ব্যাংকগুলো থেকে আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল বাড়ির দলিল, সোনা দানা বা অন্য কোন জামানত জমা রাখতে হবে। অথবা সরকারি কোন চাকরিজীবীর গ্যারান্টি থাকা লাগবে তাছাড়া আপনি এ সকল জায়গা থেকে লোন পাবেন না। 

আপনি যদি তাদের এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে এই ব্যাংকগুলো থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার লোন নিতে পারেন অতি সহজেই। এখান থেকে যদি আপনি লোন নেন তাহলে এনজিও থেকে যে মুনাফা সুদ নেয়। তার থেকে ব্যাংকগুলো অনেক কম সুদ নেবে। তাতে আপনার কিছু সাশ্রয়ী হবে, কিন্তু আপনার যদি জামানত না থাকে তাহলে আপনি এই সুবিধা পাবেন না।

সবচেয়ে কম সুদে বেশি মেয়াদে কোন জায়গা থেকে লোন পাওয়া যাবে?

বাংলাদেশের সবচেয়ে কম সুদে বেশি মেয়াদের লোন যদি পেতে চান তাহলে আপনি সরকারী যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে সেখান থেকে লোন নিতে পারেন। তাদের মধ্যে যুব উন্নয়ন থেকে আপনি স্বল্প সুদে বেশি মেয়াদে লোন নিতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অল্প সুদে লোন নিতে পারবেন। 

এখান থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি লাগে?

আপনি যদি সরকারি এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদের লোন নিতে চান। তাহলে আপনার বাড়ির অরজিনাল দলিল জমা রাখতে হবে। তারপরে সরকারি চাকরিজীবীর গ্যারান্টি থাকা লাগবে। এছাড়াও আরো অন্যান্য শর্ত মেনে লোন নিতে হবে। 

সুবিধা:

তাদের থেকে লোন নেওয়ার জন্য একটু বেশি সময় লাগে। কিন্তু একবার যদি লোন পাওয়া যায় তাদের থেকে তাহলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তা হল আপনি অনেকদিন মেয়াদে লোন পরিশোধেদের সময় পাবেন যা। ফলে আপনি আস্তে আস্তে লোন পরিশোধ করতে পারবেন।

এই ছিল ৫০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার ব্যাপারে আজকে আমার পরামর্শ। এখন আপনি সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে দেখেন কোন উপায়ে কিভাবে আপনি লোন নিবেন। তা আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন অবশ্যই ভেবেচিন্তে পরিবারের কথা চিন্তা করেই একটি সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি যদি এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আবার আসবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *