কোডিং ছাড়া অ্যাপস তৈরি করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়

Share This Post

কোডিং ছাড়া অ্যাপস তৈরি

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার আসলে সহজ কোন টেকনিক নাই। তাই আপনাকে একটু পরিশ্রম দিয়ে মাথা খাটিয়ে টেকনিক ব্যবহার করে অনলাইন থেকে আয় করতে হবে। তবে আমি আপনাকে সহজ একটি ইনকাম করার মাধ্যম দেখাবো যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজে আয় করতে পারবেন। তবে আমার এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে নিতে হবে তারপর কাজে লেগে যাবেন।

আজকের পোস্টে জানতে পারবেন কিভাবে কোন প্রকার কোডিং ছাড়া এনড্রোয়েড এপস তৈরি করতে পারবেন। আর এই অ্যাপস দিয়ে আপনি প্রতি মাসে ৫-২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর আপনি যখন এপসটি ভালো করে প্রচার করতে পারেন তাহলে আপনি এর থেকেও ভালো আয় করতে পারবেন।

অ্যাপস থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ৩টি ধাপে এগিয়ে যেতে হবে যেমন:

১. একটি সঠিক অ্যাপস তৈরি করা।
২. অ্যাপসটি স্টোরে পাবলিশ করা।
৩. অ্যাপসটি প্রমোশন করা।

কিভাবে কোডিং ছাড়া অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট করবেন?

কোডিং ছাড়া এপস তৈরি করতে হলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের সাহায্যে নিতে হবে। আর এই ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এপসটি তৈরি করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট থেকে এপস তৈরি করার কিছু টুলস রয়েছে তা ব্যবহার করে আপনার মত একটি এপস তৈরি করে নিতে হবে।

কিভাবে Android Apps তৈরি করবেন?

আপনি মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যেকোন একটি ব্যবহার করে এপস তৈরি করতে পারবেন। তাই প্রথমে আপনি যেকোন ব্রাউজারে গিয়ে সার্স করুন “App creator 24” লিখে এবং ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করুন। তারপর “Signup” বাটনে ক্লিক করে একটি একাউ খুলে নিন।

একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

1. নাম
2. দেশ সিলেক্ট
3. জিমেইল
4. পাসওয়ার্ড

এখানে ব্যবহার করা জিমেইল ও পাসওয়ার্ড মনে রাখবেন। কারন এই ওয়েবসাইটে লগইন করার জন্য অবশ্যই আপনার জিমেইল ও পাসওয়ার্ড লাগবে।

1. Create App: General info

আপনার একাউন্ট হয়ে গেলে আপনি ওয়েবসাইটের হোম পেজে আসুন। এবং ” Create Apps ” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-১: আপনার এপসের একটি নাম দিন।
ধাপ-২: আপনার এপসের জন্য একটি লোগো/ছবি আপলোড করুন।
ধাপ-৩: এপসে কোন ভাষা হবে তা সিলেক্ট করুন।
ধাপ-৪: আপনার এপসের কি কাজ সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।

সকল ফর্ম পূর্ণ করে ” Next ” বাটনে ক্লিক করুন।

2. App Style

আপনার এপসটির মধ্যে কি কালার হবে। সেই কালার নিজের মত পছন্দ করে নিন। এবং নিচে ” Next ” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে আসুন।

3. Kind of App

এখানে আপনি ৮টি ক্যাটাগরি সিস্টেম পাবেন আর এখান থেকে বেছে নিন আপনি কোন ধরনের অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট করতে চাচ্ছেন। এখানে শুধু সিলেক্ট করে পরবর্তী পেজে যান। এছাড়া বাকি ক্যাটাগরি আপনি ভেতরেও পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি নিছে দেখুন লেখা আছে ” Create an empty app ” সেখানে ক্লিক করলে ব্লান্ক ভাবে এপস আসবে পরবর্তী আপনি টুলসগুলো এড করতে পারবেন।

এই সকল ধাপ পেরিয়ে আপনি এডমিন প্যানেলে চলে আসবেন। আর এখানেই আপনি আপনার নিজের মত করে এপসটি সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন। এডমিন প্যানেলে আপনি যে সকল টুলস পাবেন তাহল:

Sections অপসনে আপনার মূল কাজ। আপনি কোন ধরনের কিভাবে সাজিয়ে এপস তৈরি করতে তা আপনাকে নিজেকেই করতে হবে। আপনি নিজের আইডিয়া মতাবেক গুছিয়ে একটি এপস তৈরি করে ফেলুন। এখানে বেশি ঘাটাঘাটি করুন জানুন-বুঝুন ও শিখুন। তাহলে একসময় আপনি সুন্দর একটি মানুষের প্রয়োজনে লাগবে এই রকম একটি এপস তৈরি করে ফেলুন।

Sections অপসনে রয়েছে ২৩টি টুলস আইডিয়া যা আপনি নিজের মত করে সাজিয়ে এপস তৈরি করতে পারবেন।

Ads অসনে আসলে দেখতে পারবেন আপনি ৬টি প্লাটফর্মের এডস বসাতে পারবেন। তারমধ্যে পপুলার হল গুগল এডমোব এডস ও স্টার্ট ডট আইও এডস। এখানে শুধুমাত্র Ads Code গুলো বসিয়ে দিলে এডস প্লেসমেন্ট অটোমেটিক বসে যাবে।

সর্বশেষে আপনার অ্যাপসটি তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। তারপর এই অ্যাপসটি আপনি যে কোন স্তরে পাবলিশ করুন যেমন সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি amazon অ্যাপ স্টোর এ পাবলিশ করতে পারবেন, এছাড়া আপনার অ্যাপটি যদি হাই কোয়ালিটি হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্লে স্টোরে একটি একাউন্ট খুলে সেখানে অ্যাপসটি পাবলিশ করতে পারেন।

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৩২ উপায়

Follow Telegram: Join Now

এই অ্যাপসগুলো দিয়ে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার অ্যাপসটি মানুষের প্রয়োজনীয় এপ্স হতে হবে। আর এই এপ্সে শুধুমাত্র আপনি এড চালিয়ে কিন্তু আয় করতে পারবেন। তাই আপনি অ্যাপসটি এমন ভাবে ডিজাইন করবেন যেটি হবে অন্যদের থেকে ভিন্ন।

আপনি যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে এখান থেকে একটি অ্যাপস তৈরি করে সেখান থেকে আয় করতে চান গুগল এডমোভ এডস চালিয়ে তাহলে আপনি বেছে নিবেন অ্যামাজন অ্যাপ স্টোর। কিভাবে অ্যামাজন অ্যাপ স্টোরি অ্যাপস পাবলিশ করতে হয় এ বিষয়ে আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন সেই ভিডিও গুলো দেখে শিখে তারপর অ্যাপটি অ্যামাজন অ্যাপ স্টোর এ পাবলিশ করুন। অবশ্যই সেখানে অ্যাপস পাবলিশ করতে কিছু শর্ত রয়েছে অবশ্যই সেই সত্য মোতাবেক আপনি কাজ চালাবেন।

যদি আপনি এখান থেকে একটি প্রফেশনাল এপ্স তৈরি করতে পারেন এবং সেই অ্যাপটি মানুষের প্রতিনিয়ত কাজে প্রয়োজন হবে। তাহলে আপনি কিছু টাকা খরচ করে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপসটি পাবলিশ করতে পারেন। গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাবলিক করতে হলে আপনাকে একটি গুগল কন্সোল অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। আর গুগল কন্সোল একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে পে করতে হবে ২৫ ডলার যেটি বাংলা টাকায় ৩৩০০ টাকার বেশি আসবে। তো কিভাবে প্লে স্টোরে একটি একাউন্ট খুলতে হয় এই বিষয়ে আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন সেখান থেকে দেখে তারপর শিখে আপনার অ্যাপটি পাবলিশ করবেন।

App Creator 24 ওয়েবসাইট দিয়েও আপনি একটি শপিং অ্যাপ্স ও তৈরি করে নিতে পারবেন। এখানে আপনি প্রোডাক্ট আপলোড করে অ্যাপসটির মধ্যে সেটি মার্কেটিংও করতে পারবেন। আপনি যে একাউন্টটি খুলেছেন এই ওয়েবসাইটে এবং আপনার অ্যাপসের মধ্যেই রয়েছে এডমিন প্যানেল। আর এই এডমিন প্যানেল থেকে আপনি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

আসলে এই একটি পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাকে সম্পূর্ণ শেখাতে পারবো না। আমি শুধু আপনাকে বেসিক জিনিসগুলোই দেখাইছি। আপনি এখানে এসে ভালোভাবে পর্যালোচনা করে নিজের মত একটি এপ্স সাজিয়ে নিবেন। আপনার অ্যাপটি সাজানোর জন্য কি কি টুলস ব্যবহার করতে হবে সেগুলো আপনাকেই নির্বাচন করতে হবে।

আশা করি আপনি যদি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে গুগল এয়ার অথবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের এড গুলো ব্যবহার করে ভালো পরিমাণে একটি আয় পড়তে পারবেন। এই আইডি হবে সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। তাই আপনি প্রতি মাসে কত টাকা আয় করতে পারবেন এর কিন্তু কোন সঠিক পরিমাপ নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *