লোন নিয়ে একজন মানুষ বিভিন্ন কাজে টাকা ব্যবহার করে থাকে। আজকে আমি জানাবো ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই কিন্তু কিভাবে পাবেন এবং কোন জায়গা থেকে আপনি সহজ কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা লোন পেতে পারেন তার বিস্তারিত সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই।

প্রথমে জেনে নিন ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাইলে কি করতে হবে?
- ব্যাংকের বিভিন্ন শর্ত মানতে হবে।
- আপনি যে উদ্দেশ্যে লোন নিতে চাইছেন তা লোন দাতা প্রতিষ্ঠানকে দেখাতে হবে।
- প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি সকল ডকুমেন্ট চাইলেই আপনি দিতে পারেন।
সহজেই কোন কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান ১ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে থাকে?
দেশের সকল ব্যাংকই লোন দিয়ে থাকে। এক এক ব্যাংকের আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে ব্যাংক লোন দেওয়ার জন্য।
লোন প্রধানত দুই ধরনে প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে
- বিভিন্ন ব্যাংক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান।
- বেসরকারি বিভিন্ন মাইক্রো ফিন্যান্স এনজিও গুলো মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র লোন দিয়ে থাকে।
তাই আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ধরণের প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিবেন। এই প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে লোন দিতে চাইলে তাদের বিভিন্ন শর্ত আছে। তাছাড়া এই দুই ধরনের লোন দাতা প্রতিষ্ঠানের কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে। যেগুলো দেখে আপনার বিবেচনা করতে হবে আপনি কোন ধরনের ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন কিংবা নেওয়া উচিত হবে।
বিভিন্ন ব্যাংক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে হলে কোন কোন সুবিধা পাবেন?
সহজ কিস্তিতে লোন নিতে চাইলে আপনাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক গুলো যে সুবিধা গুলো দেবে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- লোন পরিশোদের মেয়াদ বেশি দিন থাকে।
- সুদের পরিমান কম হয়ে থাকে।
- তাদের মেয়াদ এর মধ্যে লোন পরিশোধ করলেই হবে। তারা আপনাকে এই সময়ের মধ্যে কোন বেশি কথা বলবে না।
- সময়ের আগে লোন পরিশোদ করলেই আপানার সুদের পরিমান কম নিয়ে থাকে।
ব্যাংক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার অসুবিধা
এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন
- সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো তাদের বিভিন্ন শর্ত পুরণ করা। যেমন: দলিলপত্র, সরকারি চাকুরী জামিনদার ইত্যাদি।
- সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত সুদ ধার্য করা ইত্যাদি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা সমুহ
সরকারি ব্যাংক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার থেকে বেসরকারি বা এনজিও থেকে লোন নেওয়ার কিছু ভালো দিক রয়েছে। তা নিচে আলোচনা করা হলো:
- জামানত ছাড়া লোন নেওয়া যায়।
- অল্প সময়েই লোন পাওয়া যায়।
- তারা লোনের টাকা নিতে বাড়ি পর্যন্ত আসে। যার কারণে লোন তাড়াতাড়ি পরিশোধ করা হয়ে যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও থেকে লোন নেওয়ার অসুবিধা সমুহ
এনজিও থেকে লোন নেওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে। যে অসুবিধা গুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেই। বেসরকারি ব্যাংক বা এনজিও থেকে লোন নেওয়ার কিছু অসুবিধা নিচে দেওয়া হলো।
- বেশি সুদের হার হয়ে থাকে।
- লোন দেওয়ার এক সপ্তাহ বা এক মাসের পর থেকেই কিস্তি দেওয়া লাগে।
- এক কিস্তি গ্যাপ দিলে অফিস থেকে অনেক চাপ আসে। তাই কিস্তি গ্যাপ বা খিলাপি রাখার সুযোগ থাকে না।
- প্রথমেই বড় লোন দেয় না। ছোট লোন দিয়ে থাকে নতুন সদস্যদের।
যে ব্যাংক গুলো ১ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে থাকে সহজ পদ্ধতিতে
সকল ব্যাংকই লোন দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে থেকে কম সুুদে এবং সহজ পদ্ধতিতে যে সকল ব্যাংক গুলো ১ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে থাকে। তা হলো:
- যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
- কর্মসংস্থান ব্যাংক
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
- কৃষি ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- এবি ব্যাংক
- গ্রামীণব্যাংক ইত্যাদি।
১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাইলে যেসব এনজিওর সাথে যোগাযোগ করতে হবে
আমাদের দেশে অনেক এনজিও রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু এনজিও প্রথমেই বেশি টাকা লোন দিয়ে থাকে বা সহজ কিস্তিতে লোন দিয়ে থাকে তার নাম গুলো নিচে দেওয়া হলো।
- একটি বাড়ি একটি খামার
- বুরো বাংলাদেশ
- ব্রাক
- আশা
- কারিতাস
- গ্রামীণ ব্যাংক ইত্যাদি
আপনি যদি এনজিও থেকে লোন নিতে চান তাহলে এই এনজিও গুলো থেকে লোন নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ধনী হওয়ার উপায় ৬টি নিয়ম মেনে চললে জীবনে সফল হতে পারবেন
লোন নেওয়ার আগে যে বিষয় গুলো দেখতে হবে
আপনি যদি লোন নিতে চান তার আগে কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। যেমন:
- উদ্দেশ্য: আপনি কোন উদ্দেশ্যে লোন নিতে চাইছেন। এমন কোন প্রয়োজনে লোন নেওয়া যাবে না যার মাধ্যমে আপনি কোন আয় করতে পারবেন না। আপনি খেয়াল রাখবেন লোনের টাকা যেন এমন কোন ব্যয় এর খাতে খরচ না হয়ে যায় যার মাধ্যমে আপনার কোন রির্টান আসছে না।
- বিনিয়োগ: আপনি লোনের টাকা দিয়ে কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবেন। কখনও লোনের টাকা সংসারে ব্যয়ের বা পার্সোনাল শখ পুরণ করার জন্য উত্তোলন করা যাবে না।
- পরিশোধ করার ক্ষমতা: আপনার লোন নেওয়ার আগে চিন্তা করতে হবে আপনি কি এই লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন কি না। আপনার আয়ের উপর নির্ভর করে লোন করতে হবে। না হলে আপনি দেনায় পড়ে যাবেন।
১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাইলে আপনার যে কাজ গুলো করতে হবে
কোন কারণে আপনি লোন নিতে চান তার কারণ স্পষ্ট করতে হবে। যেমন: দোকান দেওয়ার জন্য, গরু কেনার জন্য, কৃষি কাজ করার জন্য, বাসস্থান নির্মানের জন্য ইত্যাদি কারনে মানুষ লোন নিয়ে থাকে। তাই আপনি কোন কারণে লোন নিতে চান তা স্পষ্ট করতে হবে।
আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চান, তাহলে দেখতে হবে কোন কোন ব্যাংক আপনাকে লোন দিতে রাজি আছে। কারণ আপনি সকল ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন না। উপরে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ব্যাংক বা এনজিও গুলোর সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে লোন নেওয়ার জন্য। যোগাযোগ করলে আপনি জানতে পারবেন কোন ব্যাংকের কি কি শর্ত আছে লোন দেওয়ার জন্য।
তারপর দেখবেন যে ব্যাংকের শর্ত আপনি পুরণ করতে পারছেন সেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এমন সব পোস্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হলে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করে রাখতে পারেন। আমাদের ফেসবুক পেজ এর নাম Tooaan