
ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়া: বাংলাদেশের মানুষ আগের থেকে বর্তমানে ব্যবসার দিকে ঝুকছে বেশি মানুষ। মানুষ বুঝতে পারছে চাকরি এবং ব্যবসার পার্থক্য। তাই আমি ইউনিক ৫টি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে এসেছি যা করতে পারলে আপনার বেকারত্ব তো ঘুচাবেই। এর পরে আপনি আর মানুষকে চাকুরী দিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে দেওয়া যাক সেই ৫টি ইউনিক ব্যবসা আইডিয়া।
ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়া নিচে দেওয়া হলো।
নিচে যে তিনটি ইউনিক ব্যবসার কথা বলেছি যা আপনি করতে পারলে একসময় বড় কোম্পানিতে রূপ দিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে দেওয়া যাক সেই ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়া।
১। প্লাস্টিকের বোতল এবং কৌটা তৈরির ব্যবসা

বলা যায় প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার হয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। যে সকল ছোট ব্যবসায়ী আছে বা মধ্যম সাইজের ব্যসবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা কেউই নিজেরা বোতল তৈরি করবে না। তারা তাদের প্রোডাক্ট প্যাকেটজাত বা মোড়কজাত করার জন্য প্লাস্টিকের বোতল বা কৌটা ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনি এই সার্ভিসটি দিতে পারেন।
ব্যবসাটি করার জন্য যা প্রয়োজন হবে
- এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে মেশিন ক্রয় করতে হবে।
- বোতল তৈরি বা কৌটা তৈরির কাচামাল কিনতে হবে
- প্রশিক্ষন নিতে হবে।
এই তিনটি কাজ করতে পারলে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। সময় ব্যয় করতে হবে প্রথমে।
ব্যবসাটির ভবিষ্যত সম্ভাবনা কেমন?
এই ব্যবসাটি করলে আপনার ভবিষ্যতে কেমন আয় হতে পারে অথবা ব্যবসাটি কি ভবিষ্যতে চলবে কি না। তা নিয়ে থাকে অনেক প্রশ্ন তার উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
# বাজার চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে
- খাবার, পানীয়, তেল, কসমেটিকস, ফার্মাসিউটিক্যালস, কেমিক্যালস—সব সেক্টরে প্লাস্টিক বোতল ও কৌটার ব্যবহার বাড়ছে।
- স্থানীয় ছোট কারখানা, হোম-মেড প্রোডাক্ট প্রস্তুতকারীরাও এখন বোতলে প্যাকেজিং করে পণ্য বাজারজাত করছে।
- দেশের বাজারে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই এর চাহিদাও ক্রমেই বাড়ছে।
সুবিধা গুলো:
- এই ব্যবাসাটিতে প্রথমত যে সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো প্রোডাক্ট পচনশীল নয়। তাই চালান মার যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
- রিপিটেড কাস্টমার পাওয়া যায়।
- ভালো কাস্টমার দিলে মার্কেটিং খরচ বেশি দেওয়া লাগে না। কাস্টমারাই মার্কেটিং করে দেয়। মানে একজনের কাছ থেকে শুনে অন্য কাস্টমার আসে বেশি। মার্কেটিং খরচ কম।
- একবার একটি কাস্টমারবেজ তৈরি করতে পারলে শুধু তাদের মাঝে সেল দিলেই টিকে থাকা যায়।
আপনার কাছে কেমন লাগবো এই ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়া প্রথম ব্যবসাটি। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন।
আরো পড়ুন:
- ১০০+ পরিশ্রম ও সফলতা নিয়ে উক্তি | সাফল্য নিয়ে উক্তি বিশ্বের সকল সফল ব্যক্তিদের
- ২০২৫ সালে ৪টি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া – কৃষি নির্ভর ব্যবসা আইডিয়া
২। কৃত্তিম প্লান্ট বা প্লাসিকের ফুল তৈরির ব্যবসা

ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়টি: মানুষ যত উন্নত হবে বা দেশে যত বেশি ব্যসবা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বাড়বে তত বেশি লাভ এই কৃত্তিম গাছ বা প্লাস্টিকের ফুল তৈরি ব্যবসায়। কারণ মানুষ তাদের অফিস বা বাসা বাড়ি সাজানোর জন্য এই কৃত্তিম প্লান্ট বা প্লাস্টিকের ফুল কিনে থাকে। প্রতিনিয়ত এই ব্যবসাটির বাজার চাহিদা বাড়ছে। তাই আপনি এই ব্যবসাটি চাইলে শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে যা করতে হবে
এই ব্যবাসটি দুই ভাবে শুরু করতে পারেন। একটি হলো নিজে সকল কিছু তৈরি করতে হবে তারপর বানাতে হবে একটি প্লাস্টিকে গাছ বা ফুল। আরেকটি হলো বাজার থেকে খুচরা ভাবে সকল কাচামাল কিনে বাড়ি বসে নিজে সেট করে বিক্রি। এই ব্যবসাটি করতে হলে সৃজনশীলতা থাকতে হবে। যাতে নতুন নতুন ডিজাইনের গাছ, ফুল তৈরি করতে পারেন। যা দেখলেই মানুষের পছন্দ হয়। যার কারণে প্রথমে আপনার একটু প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারপর শুরু করতে হবে।
ব্যবসাটিতে ভবিষ্যত সম্ভাবনা কেমন?
আমাদের দেশ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। দেশে বাড়ছে উন্নতমানের বাড়ি ঘর এবং অফিস আদালত। যার ফলে আপনি বুঝতে পারছেন যে এই চাহিদাও বাড়ছে বেশি। তাছাড়াও দেশের বাইরেও রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
# হোম ডেকোরেশনের চাহিদা বাড়ছে
- মানুষ ঘর সাজাতে কৃত্রিম গাছ ও ফুল বেশি ব্যবহার করছে।
- ছোট ফ্ল্যাট বা অফিসে রিয়েল গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা ঝামেলার, তাই কৃত্রিম গাছ এখন বেস্ট অল্টারনেটিভ।
ব্যবসাটির সুবিধা
- এই ব্যবসাটিতেও প্রোডাক্ট নষ্ট হওয়া বা পচে যাওয়ার ঝুকি থাকে না।
- চাহিদা থাকে সারা বছর আর বিশেষ উৎসবের সময়ে চাহিদা বাড়ে বেশি। যেমন- পুজা, ঈদ ইত্যাদি।
- নারী পুরুষ উভই কাজটি করতে পারে।
আপনার কাছে দ্বিতীয় এই ইউনিক ব্যবসাটি কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন। ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়ার তিন নাম্বারটি নিচে দেওয়া হলো।
৩। হাতে তৈরির সাবানের ব্যবসা

ইউনিক ৩টি ব্যবসা আইডিয়ার তৃতীয় ব্যবসা: হাতে তৈরি সাবানের ব্যবসাটি চাইলে আপনি শুরু করতে পারেন। এই প্রোডাক্টটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। যা মানুষ যতদিন বেচে থাকবে ততদিন চাহিদা থাকবে। তাহলে বুঝতে পারছেন এর বাজার কত বড়। মানুষ ছাড়াও বাসান পশু-পাখির জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনি একটি কাজ করতে পারেন। দুটি ভ্যাটিয়ান্টের সাবান দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আপনি যেভাবে ব্যবসাটিতে ইউনিক বা নতুনত্ব আনবেন
প্রথম উপায়: মানুষের দুই ধরনের সাবান বাজারে রয়েছে। একটি হলো মুখে লাগানোর সাবান আরেকটি হলো গায়ে লাগানোর সাবান। তাই আপনি এখানে যেকোন একটি ফোকাস করবেন যেমন মুখে। বর্তমানে বাজারে মুখে লাগানোর যে সাবান গুলো পাওয়া যায় তার দাম অনেক বেশি। তাই আপনি যদি এই গ্যাপটিতে ফোকাস করেন তাহলে বাজার দখল করতে পারবেন।
দ্বিতীয় উপায়: বর্তমানে আমাদের দেশে গুরু, বিড়াল, কুকুর পালনের চাহিদা বাড়ছে প্রচুর পরিমানে। তাই আপনি শুধু প্রাণির জন্য সাবান তৈরি করতে পারেন। তাহলে দেখবেন সহজেই বাজার দখল করতে পারবেন। কারণ আমাদের দেখে প্রাণিদের গোসল করানোর জন্য ভালো বাসান নেই। মানুষের ব্যবহারের সাবান দিয়েই প্রাণিদের গোসল করানো হয়। তাই আপনি এই গ্যাপটি নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন:
এই ব্যবসাটির বাজার যেমন অনেক বড়। তেমন এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও অনেক। কারণ এই পণ্যটি একটি গ্রিন পণ্য বলা যায়। আপনি একবার যদি সাবানের ব্যবসাটি করে দাড়াতে পারেন। তাহলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
তৃতীয় ইউনিক ব্যবসাটি কেমন লেগেছে আপনার তা জানাবেন। আপনার এই ৩টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে কোনটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা জানাতে পারেন কমেন্টে।
বি:দ্র: এখানে আমি শুধু একটি ব্যবসার আইডিয়া জানিয়েছি আপনাদের। আপনি ব্যবসাটি শুরু করার আগে অবশ্যই বর্তমান পরিবেশ, বাজার চাহিদা এবং আপনি পারবেন কিনা তা ভালো করে ভেবে ব্যবসাটি শুরু করবেন। ব্যবসায় লাভ লস হয়। তাই আপনি নিজের দায়িত্বে ব্যবসাটি শুরু করবেন।