By
প্রতিবারের মতো এবারও Triumph Thruxton Carrera মডেলটি নিয়ে এসেছে ভিন্নমাত্রার চমক, যা দেখতে যেমন অসাধারণ, তেমনি পারফরম্যান্সেও দারুণ শক্তিশালী। “তামারিত মোটরসাইকেল” নাম শুনলেই বোঝা যায়, আবারও কিছু চমকে দেওয়ার মতো কাস্টম ডিজাইন নিয়ে আসছে তারা। এই কোম্পানির ডিজাইন ভাষা এতটাই অনন্য যে, অনেক মোটরসাইকেল প্রেমীর স্বপ্ন থাকে একদিন তাদের তৈরি একটি Triumph Thruxton সংগ্রহে রাখার।
তামারিতের এই অসাধারণ ডিজাইন সারা বিশ্বের মোটরসাইকেল জগতে বহুবার আলোচিত হয়েছে। আর এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। চলুন দেখে নিই Triumph Thruxton Carrera-র এই অবিশ্বাস্য কাস্টম বাইকটির খুঁটিনাটি বিবরণ।
নজরকাড়া ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং
Triumph Thruxton Carrera বাইকটি শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যেই নয়, যান্ত্রিক দিক থেকেও বেশ শক্তিশালী। বাইকটির সবচেয়ে প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর মনোকক বডি ডিজাইন, যেখানে তেলের ট্যাঙ্ক এবং পেছনের অংশ একত্রে মিলিত হয়েছে। এই মনোকক ইউনিটটি একটি নতুন সাবফ্রেমের উপর বসানো, যার পেছনে রয়েছে দুটি গোলাকার এলইডি লাইট—যা টেইললাইট ও টার্ন সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে।
নিচের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, স্ট্যান্ডার্ড সাসপেনশনের জায়গায় বসানো হয়েছে একটি মনোশক সেটআপ, যাতে ব্যবহৃত হয়েছে কাস্টম লিংকেজ ও রিমোট-রিজার্ভয়ারযুক্ত আফটারমার্কেট শক অ্যাবজর্বার। এর পাশাপাশি রয়েছে একটি বৃহত্তর সুইংআর্ম ও একটি কাস্টম রিয়ার ফেন্ডার।
মনোকক ইউনিটটি একটি বোতাম চেপেই হাইড্রলিক পদ্ধতিতে ওপেন-আপ করা যায়, যা ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টে সহজ অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। এদের সব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা Motogadget কন্ট্রোল ইউনিট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যার মধ্যে রয়েছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি।
Triumph Thruxton Carrera ক্যারেরা-র চোখধাঁধানো ডিজাইন ফিচারসমূহ:
- একক ইউনিটে গঠিত মনোকক বডি (ট্যাঙ্ক ও টেইল মিলিত)
- রিমোট অ্যাকসেসযোগ্য হাইড্রলিক অপশন
- হাতে তৈরি সলো সিট, কালো আলকান্টারা এবং হলুদ সেলাই
- টেইল ও টার্ন সিগন্যাল হিসেবে কাজ করা এলইডি লাইট
- কাস্টম ফ্রন্ট ফেয়ারিং, স্টাইলিশ সাইড কভার ও আকর্ষণীয় বেলি প্যান
- পাঁচ-স্পোক কার্বন ফাইবার রিম এবং গ্রিপি পিরেলি রাবার
- ক্রোম প্লেটিংসহ কালো-ধূসর-সোনালী থিমে লিভারি
পারফরম্যান্স, কন্ট্রোল এবং আধুনিক প্রযুক্তি
সামনের অংশে রয়েছে একটি প্রিমিয়াম এলইডি হেডলাইট, যার উপরে যুক্ত করা হয়েছে একটি টিন্টেড উইন্ডশিল্ড এবং নিচে রয়েছে হাতে তৈরি কাস্টম ফেন্ডার। কার্বন ফাইবার রিম ব্যবহারের ফলে বাইকের আনস্প্রাং ওজন কমেছে, যার ফলস্বরূপ হ্যান্ডলিং ও পারফরম্যান্স অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। উভয় রিমেই মোড়ানো আছে গ্রিপি পিরেলি রাবার, যা রাইডারকে দেয় অতুলনীয় কন্ট্রোল ও আত্মবিশ্বাস।
ব্রেকিং পারফরম্যান্সেও এসেছে প্রিমিয়াম ছোঁয়া। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়েভ-স্টাইল ব্রেক ডিস্ক, যা উন্নততর নিরাপত্তা ও রেসপন্স নিশ্চিত করে। ক্যকপিট অংশে রয়েছে Motogadget Motoscope Pro ডিজিটাল ড্যাশ, ক্লিপ-অন হ্যান্ডেলবার, বার-এন্ড টার্ন সিগন্যাল এবং অত্যাধুনিক আয়না—সব মিলিয়ে এটি একটি পুরোপুরি আধুনিক ও স্পোর্টি সেটআপ।
আরো পড়ুন: কম দামে বেশি মাইলেজের সেরা ৪টি বাইক ২০২৫
ইঞ্জিনিয়ারিং পারফরম্যান্সেও দারুণ নজর দেওয়া হয়েছে। যদিও কাজগুলো শুধুমাত্র ইনটেক ও এক্সহস্ট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, কিন্তু প্রতিটি উপাদান তৈরি করা হয়েছে নিখুঁতভাবে। আফটারমার্কেট পড ফিল্টার ইনটেক ম্যানিফোল্ডের শেষে সংযুক্ত, আর এক্সহস্ট গ্যাস নির্গত হয় হাই-মাউন্টেড স্ক্র্যাচ থেকে তৈরি পাইপওয়ার্কের মাধ্যমে, যা বাইকের আক্রমণাত্মক লুক আরও বাড়িয়ে দেয়।
শেষে বাইকের ট্যাঙ্কে যুক্ত করা হয়েছে Tamarit ব্যাজ এবং সাইড কভারে Carrera নামের এমব্লেম, যা বাইকটির আইডেন্টিটি গর্বের সাথে বহন করে। কালো, ধূসর ও সোনালি হাইলাইট এবং কিছু জায়গায় ব্যবহৃত ক্রোম প্লেটিং বাইকটিকে আরও প্রিমিয়াম এবং নজরকাড়া করে তুলেছে।
