ByPulsar NS400Z হলো এমন এক বাইক, যেটা একসাথে শক্তিশালী, আধুনিক আর স্টাইলিশ। এর আগ্রাসী ডিজাইনের মধ্যে ভেসে থাকা প্যানেল আর সিগনেচার লাইটনিং বোল্ট DRL বাইকটিকে আলাদা একটা চেহারা দেয়। সঙ্গে রয়েছে প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, যা রাতের অন্ধকারেও দারুণ আলো দেয়।
এই বাইকে রয়েছে ৩৭৩ সিসি ইঞ্জিন, যা থেকে পাওয়া যায় ৪০ পিএস পাওয়ার ও ৩৫ এনএম টর্ক—মানে গতি আর শক্তিতে একেবারে দারুণ! চাইলে চার ধরনের রাইডিং মোড বেছে নিতে পারবেন—রোড, রেইন, স্পোর্ট আর অফ-রোড—যাতে যেকোনো রাস্তা বা পরিস্থিতিতে পারফরম্যান্স ঠিকঠাক থাকে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এর কানেক্টেড কনসোল। ব্লুটুথের মাধ্যমে আপনি ফোন কল, গান, ন্যাভিগেশন এমনকি ল্যাপ টাইমিংও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন সেই স্মার্ট LCD স্ক্রিন থেকেই।
সোজা কথায়, NS400Z হলো এমন এক বাইক, যেখানে স্টাইল, শক্তি আর স্মার্টনেস—সব একসাথে মেলে।
Pulsar NS400Z ডিজাইন
পালসার NS400Z-এর ডিজাইন একদম আলাদা ও চোখে পড়ার মতো। এর আকর্ষণীয় স্ট্রিটফাইটার লুক, ভাসমান প্যানেল ও বজ্রের মতো DRL হেডলাইট বাইকটিকে দিয়েছে এক দুর্দান্ত সাহসী চেহারা। পুরো বাইকটি তৈরি হয়েছে এরোডাইনামিক ডিজাইন অনুযায়ী, ফলে এটি হালকা, চটপটে এবং নিয়ন্ত্রণে সহজ।
শর্ট হুইলবেস ও পাতলা বডি প্যানেল এর চালনায় যোগ করে বাড়তি গতি ও মসৃণতা। রাইডিং পজিশনটিও সামনে ঝুঁকে থাকা, যা চালককে দেয় দারুণ একটি থ্রিলিং অভিজ্ঞতা – রেসিং ট্র্যাক হোক বা শহরের রাস্তা। ডিজাইনের দিক থেকে এটি এক কথায় অসাধারণ।
Pulsar NS400Z চারটি কালারের পাওয়া যাবে
Pulsar NS400Z বাইকটির পারফরমেন্স
Pulsar NS400Z হলো তার শ্রেণির সবচেয়ে পাওয়ারফুল বাইক। এতে আছে ৩৭৩ সিসি ইঞ্জিন, যা ৮৮০০ RPM-এ ৪০ PS (২৯.৪২ কিলোওয়াট) পর্যন্ত পাওয়ার এবং ৬৫০০ RPM-এ ৩৫ Nm টর্ক দেয়। ফলে আপনি পাবেন দারুণ এক্সিলারেশন এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স।
দারুণ পাওয়ার-টু-ওয়েট রেশিও
NS সিরিজের স্পোর্টি চেসিসের সঙ্গে ৪০ PS পাওয়ার মিলিয়ে NS400Z দেয় প্রতিটি থ্রটল টুইস্টে এক্সট্রা থ্রিল। লাইটওয়েট বডি ও হাই-পারফরম্যান্স ইঞ্জিন মিলিয়ে রাইডিং হবে আরও উত্তেজনাপূর্ণ।
অ্যাডভান্সড লিকুইড কুলিং সিস্টেম
দীর্ঘক্ষণ হাই স্পিডে রাইড করলেও ইঞ্জিন থাকবে ঠান্ডা। কারণ NS400Z-এর লিকুইড কুলিং সিস্টেম হিটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যাতে পারফরম্যান্স সবসময় থাকে স্মুথ ও কনসিস্টেন্ট।
পালসার এনএস৪০০জেড (Pulsar NS400Z) টেকনোলজি
Pulsar NS400Z-এ দেওয়া হয়েছে 43 মিমি ইউপিএসডি (Upside Down) ফ্রন্ট ফর্ক, যা রাইডের সময় স্ট্যাবিলিটি ও নিয়ন্ত্রণকে আরও উন্নত করে। ফলে বিভিন্ন রাস্তায় আপনি পাবেন এক্সট্রিম অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি।
এই বাইকে রয়েছে আধুনিক LED প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, যার সাথে ডে-টাইম রানিং লাইট (DRL)। এতে আলো হবে আরও উজ্জ্বল ও সঠিকভাবে ছড়ানো, যা রাতের রাইডিংকে করে তোলে আরও নিরাপদ।
আরামদায়ক ও নিয়ন্ত্রিত হ্যান্ডলিং
Pulsar NS400Z-এ আছে হাইড্রোফর্ম হ্যান্ডেলবার এবং ৫-স্তরের অ্যাডজাস্টেবল লেভার, যা আপনি নিজের মতো করে সেট করতে পারেন। এতে রাইডিং হয় আরও আরামদায়ক ও নিয়ন্ত্রিত।
Pulsar NS400Z সেফটি
ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম: যেকোনো রাস্তা বা আবহাওয়ায় গ্রিপ ও স্ট্যাবিলিটি বজায় রাখতে Pulsar NS400Z-এ রয়েছে উন্নত ট্র্যাকশন কন্ট্রোল। স্পোর্টস ও অফ-রোড মোডে এটি সুইচ করা যায়, যাতে কঠিন পরিস্থিতিতেও আপনি থাকেন নিয়ন্ত্রণে।
ABS রাইড মোডস: এই বাইকে রয়েছে তিনটি ABS মোড – রোড, রেইন ও অফরোড। প্রতিটি মোডে ABS ব্যবস্থা বিশেষভাবে টিউন করা, যেন নির্দিষ্ট রাইডিং কন্ডিশনে আপনি পান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্স।
ডুয়াল চ্যানেল ABS ব্রেকিং: আপৎকালীন ব্রেকিংয়ের সময় চাকা লক হয়ে যাওয়ার ভয় নেই! ডুয়াল চ্যানেল ABS প্রযুক্তি চাকা স্কিড করা রোধ করে, যেকোনো রাস্তার অবস্থা হোক না কেন – আপনি থাকবেন সুরক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশে বাজারে পালসারের এই বাইকটি কেমন হবে?
বাংলাদেশে Pulsar সিরিজের বাইকগুলো বরাবরই তরুণদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। NS160 ও NS200 মডেল দুটোই দারুণ সফল হয়েছে। তাই NS400Z আসলে বাইকারদের মধ্যে আগ্রহ ও উত্তেজনা অনেক বেশি থাকবে।
আরো পড়ুন: গিনেস বিশ্ব রেকর্ড গড়লো, Verge TS Pro Bike – পাড়ি দিয়েছে অবিশ্বাস্য দূরত্ব!
Pulsar NS400Z বাইকটির বাংলাদেশে সম্ভাব্য দাম
ভারতীয় বাজারে বাইকটির দাম প্রায় ₹1.85 লাখ এক্স-শোরুম। বাংলাদেশে ট্যাক্স ও আমদানি খরচ যুক্ত হয়ে এর দাম হতে পারে আনুমানিক 4 লাখ টাকা (বিডিটি)। এটি CBU না CKD হিসেবে আসে, সেটার ওপরেও দাম নির্ভর করবে।
পরিশেষে বলা যায়: Pulsar NS400Z বাংলাদেশের বাজারে এলে এটি একটি “প্রিমিয়াম পারফরম্যান্স বাইক” হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবে। যারা স্পোর্টি লুক, পাওয়ার ও আধুনিক ফিচার চান, তাদের জন্য এটি হবে দারুণ একটি প্যাকেজ — যদি দাম প্রতিযোগিতামূলক রাখা যায়।
