২০২৫ সালে সফল ইউটিউবার হওয়ার উপায়

Share This Post
সফল ইউটিউবার হওয়ার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

২০২৫ সালে সফল ইউটিউবার হওয়ার উপায়।

বর্তমানে সবারই একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। কিন্তু সবাই ইউটিউব সফলতা পাচ্ছে না। যার কারণে সে একজন সফল ইউটিউবার হতে পারছে না। মানুষ মনে করেন এইটা ভিডিও ভাইরাল হলেই সে সফল হয়ে যাবেন। অথবা শুধু ভালো ভালো #ট্যাগ, কিওয়ার্ড ‍দিলেই বেশি ভিউ হবে। আসলেই কি এমনটা হয়। আর একটা বিষয়– সবাই ইউটিউব এসইও আসলে কি কোন কোন বিষয় গুলোর উপর ফোকাস করতে হয় ইউটিউব এসইওর জন্য তা সবাই জানে না। তাই সবাই ইউটিউবে সফলতা পায় না।

আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিন।

ইউটিউব ভিডিও এসইও/SEO এবং ওয়েবসাইট বা ব্লগিং কন্টেন্ট এসইও এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই শুধু ভালো কিওয়ার্ড বাছাই করা মানেই ইউটিউব এসইও বোঝায় না। ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো বিষয় সঠিক মেইনটেইন করতে হয়। তাই আমার মতে সংক্ষেপে যদি বলি তাহলে ইউটিউব ভিডিও এসইও বলতে খুটি-নাটি যে যে বিষয় গুলো পবির্তন এবং পরিবর্ধন করার ফলে ভিডিওতে বেশি ভিউ হয় তার সবকিছুকেই ইউটিউব SEO বলা যায়। যেসব বিষয় গুলো সঠিকভাবে করতে হবে তা হলো:

একজন সফল ইউটিউবার হওয়ার পুরো গাইডলাইন।

  • ক্যাটাগরি নির্বাচন
  • চ্যানেল ক্রিয়েট এবং কাস্টমাইজেশন
  • সঠিকভাবে কন্টেন্ট ধারণ করা।
  • সুন্দরভাবে ভিডিও ইডিটিং।
  • আকর্ষনীয় থাম্বনাইল তৈরি।
  • সঠিকভাবে ভিডিওর টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং কিওয়ার্ড নির্বাবচন।
  • তথ্য বহুল ভিডিও প্রতিনিয়ত আপলোড করা। 
  • ধৈর্য ধরে রাখা।

ইউটিউবের কোন ক্যাটাগরিতে বেশি ভিউ হয়?

একটা চ্যানেল তৈরি করার প্রথমে আসে আমি কোন ধরনের/ক্যাটাগরির ভিডিও বানাবো? কোন ধরনের ভিডিও করলে বেশি ভিউ পাবো? কোন ধরনের ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করলে আমি একজন সফল ইউটিউবার হবো? কোন ধরনের ভিডিওতে টাকা আয় বেশি হয়? এমন নানান প্রশ্ন তখন মাথায় আসে। এখানে অনেক ইউটিউবার অনেক রকমের নিস/ক্যাটাগরির কথা বলে থাকে। যেমন কেউ বলে টেকনোলজি বিষয় বেশি আয়, আমার কেউ বলে হেলথ/স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও তৈরি করতে। আবার কেউ বলে ইন্টারটেইনমেন্ট কেউ বলে ব্লগ করতে। তাদের উত্তর গুলো সবার ক্ষেত্রে সঠিক হয় না।

আরো পড়ুন: ইউটিউবের জন্য ১০০টি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের তালিকা ২০২৫

কারণ: প্রতিটা মানুষ এক নয়। এক এক জনের দক্ষতা, নেশা এবং পেশা আলাদা হয়ে থাকে। তাই সবার ক্ষেত্রে বিষয় গুলো ঠিক থাকে না। ক্যাটাগরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটি নিস বা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হয় তা হলো:

  • প্রথমে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন তা লিখতে হবে।
  • তারপর আপনার কোন কোন বিষয়ে আগ্রহ বা নেশা বেশি তা একটি খাতায় লিখতে হবে। 
  • তারপর আপনার বর্তমান পরিবেশ দেখতে হবে। এই পরিবেশে আপনি কি কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন। 
  • তারপর আপনার সামর্থ্য দেখতে হবে। আপনার বর্তমান সামর্থ্য অনুযায়ী যদি কোন কোন কাজগুলো করতে পারবেন।

আপনি কখনই অন্যের দেখা দেখি কিছু করবেন না। আপনার আর অন্যের সাথে সবকিছু মিলবে না। তাই আপনি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন আপানার সেই কাজগুলোই করতে হবে। যদি করেন তাহলে আপনি দ্রুত সফল ইউটিউবার হতে পারবেন। 

একটা উদাহরণ এর মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানো যাক। মনে করুন আপনার সাইকেল চালাতে বা যে কোন গাড়ি চালাতে ভালো লাগে। আপনি এই কাজটি অনেক ভালো পারেন। আপনাকে কেউ যদি টানা একঘন্টা সাইকেল চালাতে বলে আপনি বিনা কারণেই চালাতে জানি আছেন। তার মানে আপনি শত কষ্টেও আপনার পছন্দের কাজটি করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি একট ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাইছেন। এমন অবস্থায় আপনি অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। তারা এক এক জন বিভিন্ন ক্যাটাগরির চ্যানেল খুলতে পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন একজন আপনাকে বললো টেকনলোজি নিয়ে ভিডিও বানাতে। আপনি ও ভাবলেন হ্যা টেকনলোজি নিয়ে মানুষ ভিডিও করে অনেক সফলতা পেয়েছে। আমিও টেকনোলজি নিয়ে ভিডিও করে সফলতা পাবো। এখানেই হয় সবচেয়ে বড় ভুল। আপনি টেকনলোজির প্রতি আগ্রহী না এবং দক্ষও না। তাহলে আপনি কি করে ভাবেন যে এখান থেকে আপনি সফলতা পাবেন। আপনি কয়েকদিন পরেই হতাশ হয়ে পরবেন। আপনার চ্যানেলে কোন সমস্যা হলেই যেমন ভিউ কম হওয়া, কপিরাইট আশা ইত্যাদি। তাহলে আপনার কি করা উচিত?

আপনার যেটা করা উচিত হবে তা হলো যেহেতু আপনার সাইকেল চালাতে ভালো লাগে। তাই আপনি প্রথমেই সবাইকে শেখাতে পারেন কিভাবে একজন মানুষ সহজেই সাইকেল চালানো শিখতে পারবেন। তার পর আপনি শেখাতে পারেন কিভাবে একটি সাইকেলের যত্ন নিতে হয়। যাতে একটি সাইকেল দির্ঘদিন চালাতে পারে। তাছাড়া আপনি সবাইকে পরামর্শ দিতে পারেন কোন সাইকেল কেনা উচিত কোন সাইকেল অনেকদিন ভালো চলে। সাইকেলের বিভিন্ন রেসলিং করতে পারেন। বিভিন্ন স্টাইলে সাইকেল চালিয়ে সবাইকে দেখাতে পারেন। যার ফলে আপনি সহজেই একজন সফল ইউটিউবার হতে পারবেন। তাই সবার আগে সঠিকভাবে নিস বা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে।

আরো পড়ুন: সেরা ০৫টি বাজেট ফ্রি মাইক্রোফোন ২০২৪ | Low Bugdet Best USB Microphone

একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট এবং কাস্টমাইজেশন করার সঠিক পদ্ধতি

ক্যাটাগরি ঠিক হওয়ার পর আসে চ্যানেল ক্রিয়েট/তৈরি। এই জায়গায় মানুষ অনেকগুলো ভুল করে থাকে। যেমন:

  •  চ্যানেলের নামের সাথে ইউআরএস/URL বা হ্যান্ডেল এর মিল থাকে না। 
  • অনেক বড় নাম লেখা।
  • অন্য বড় চ্যানেলের নামের সাথে মিল রেখে নাম নির্ধারন করা। 
  • এমন একটি নাম যা তার ক্যাটাগরির সাথে মিলে না। 

যেভাবে একটি চ্যানেলের নাম নির্ধারণ করতে হবে।

আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে ক্যাটাগরি চ্যানেল তার সাথে মিল রেখে নাম রাখা। যেমন- সাইকেল নিয়ে ভিডিও করলে শুধু সাইকেল না উল্লেখ করে যদি বলেন রাইডিং মাস্টার। তাহলে পরবর্তিতে আপনি আপনার নিসের সাথে মিল রেখে মটর সাইকেল কিংবা গাড়ি বিষয়ক বিভিন্ন কন্টেন্ট দিতে পারবেন। অথবা আপনার নামের সাথে মিল রেখে কোন একটি নাম নির্ধারণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন অন্য কোন চ্যানেলের সাথে নামের মিল না নাকে। অন্য বড় চ্যানেলের নামের সাথে মিল থাকলে আপনার চ্যানেল সার্চ র‌্যাঙ্ককে তাড়াতাড়ি আসবে না। তাছাড়া এমন নাম নির্বাচন করতে হবে যার বানান সহজ হয়। একবার দেখলে বা শুনলে সবাই লিখতে পারে।

নাম নির্বাচন হয়ে গেলে একটি নতুন মোবাইল নাম্বার বা ফ্রেস মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি জিমেই একাউন্ট তৈরি করতে হবে। যে জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলবেন এটা যে সিক্রেট থাকে। অন্য কোন ওয়েবসাইটে এই জিমেই দিয়ে কখনই লগইন বা কোন ধরনের একাউন্ট করবেন না।তারপরের বিষয়গুলো আপনি ইউটিউবের বিভিন্ন টিউটরিয়াল দেখে একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। কোন সমস্যা নেই।

সঠিকভাবে কন্টেন্ট ধারণ করা বা ইউটিউরের জন্য ভিডিও রেকর্ড করার নিয়ম

সফল ইউটিউবার হতে হলে আপনার ভিডিও রেকর্ড করার জন্য যে বিষয় গুলো জানা জরুরি। প্রথমে দেখতে হবে আপনি যে ধরনের ভিডিও করবেন তা কি একা করা সম্ভব কিনা। যদি একাই সামনে ক্যামেরা রেখেই ভিডিও করা যায় তাহলে আপনি যেখানে বসে ভিডিও করবেন তার বিভিন্ন পজিশনে ক্যামেরা রেখে রেখে ভিডিও করে দেখবেন। যেখান থেকে নিজের ফেইস স্পষ্ট দেখা যায় এবং পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো দেখা যায় সেখানে রেখেই ভিডিও ধারণ করতে হবে।

আর যদি একা ভিডিও করা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি এমন একজনকে সাথে রাখবেন যার ভিডিও করতে ভালো লাগে। যে ভালো মানের ভিডিও ধারণ করতে পারে। আপনি এমন কাউকে নিয়ে ভিডিও করবেন না যেন সে কয়েকদিন ভিডিও করেই আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। কারণ আপনার এই কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের যাত্রায় প্রতি নিয়ত এক এক জন ক্যামেরা ম্যান পাল্টানো লাগলে আপনি ডিমোটিভেট হয়ে পরতে পারেন। আর একটা বিষয় হলো সবাইতো ভালো ভিডিও ধারণ করতে পারবে না। তাই যাকে নিয়ে ভিডিও করা শুরু করবেন তার সাথে একটা চুক্তি করে নিতে পারেন।

ভিডিও রেকর্ডের জন্য যে বিষয় গুলো অবশ্যই জরুরি:

  • একটি ক্যামেরা প্রয়োজন অথবা যে মোইলের মাধ্যমে ভালো ভিডিও করা যাবে এমন একটি মোবাইল।
  • একটি ভালো মাইক্রোফোন।
  • ভালো মানের ২-৪টি লাইট।
  • ভিডিও এডিট করার জন্য একটি কম্পিউটার। 

বর্তমানে আপনি অন্য সব সফল ইউটিউবার এর সাথে টক্কর নিয়ে একজন সফল ইউটিউবার হতে হলে অবশ্যই ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি ভালো করতে হবে। আপনি যদি নিজের ফেইস দেখিয়ে ভিডিও করেন তাহলে ভিডিও করার জন্য ভালো মানের লাইট প্রয়োজন। ভালো লাইট না হলে দামি ক্যামেরা দিয়েও ক্লিয়ার ভিডিও পাবেন না। 

আর যে বিষয়টি নিয়ে আপনি কৃপনতা করবেন না তা হলো মাইক্রফোন। একটা ভালো মাইক্রোফোন না হলে আপনার ভয়েস স্পষ্ট করে শোনা যাবেনা। একটা ভিডিওতে অভিও ভালেঅ না হলে ভিউয়ারসরা বেশি সময় ধরে ভিডিও দেখে না। তাই বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য অডিও কোয়ালিটি ভালো করা একান্ত প্রয়োজন। আপনি দেখবেন প্রতিটি সফল ইউটিউবারের অডিও থাকে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। 

সফল ইউটিউবার হওয়ার জন্য ভিডিও এডিটিং এর গুরুত্ব:

ভিডিও এডিটিং হলো একটা ভিডিও কন্টেন্টকে সুন্দর ভাবে দর্শকের মাঝে উপস্থাপনার মুল কাজটি করে থাকে। যেমন: আলু, পিয়াজ, মরিচ, মাছ, লবন, পানি, চুলা সব আছে তাকে খাওয়ার জন্য উপযোগী কাজটি যেমন রান্না হয়ে থাকে। তেমনি ভিডিও ইডিটিং ও একই কাজ করে থাকে।

আপনি যেত ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন তত বেশি ভিউ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আপনি ভিডিও এডিটিং যদি করতে পারেন তাহলে তো ভালো। আর যদি ভালো না পারেন তাহলে অবশ্যই শিখে নিতে হবে। সফল ইউটিউবার হতে হলে আপনাকে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবেই। তার পড়েও একান্তি যদি ভিডিও এডিটিং শেখার সময় না থাকে তাহলে আপনাকে কোন একজন ভিডিও এডিটর এর সহায়তা নিয়ে এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তাতে আপনার ব্যয় বেশি হবে।

সফল ইউটিউবার হওয়ার জন্য আকর্ষনীয় থাম্বনাইল এর গুরুত্ব:

একটা প্রবাদ আছে:

আগে হয় দর্শনদারী


তারপরে হয় গুণ বিচারী।

মানে কোন কিছু যদি প্রথম দেখেই ভালো না লাগে তাহলে সেই বস্তু বা যেকোন কিছুই তা বেশি কেউ ব্যবহার করে না বা দেখে না। তেমনি আপনার ভিডিওতে প্রবেশ করার প্রথম দরজা হলো ভিডিও থাম্বনাইল। আপনার ভিডিওর থাম্বনাইল যদি ভালো না হয় তাহলে কেউ ভিডিও অন করবে না। তাহলে বুঝতে পারছেন ভিডিও থাম্বনাইল কতটা গুরুত্ব পুর্ণ। মানুষ এই কাজটি ভুল করে থাকে। ভিডিও ভালো করে বানায়। থাম্বনাইল বানানোর সময় তাড়াহুড়ো করে। যার ফলে থাম্বনাইল ভালো হয় না। এই ভুলটি কখনই করা যাবে না। 

আপনি যদি ভালো থাম্বনাইল বানাতে চান তাহলে আপনাকে যে বিষয় গুলো জানতে হবে। 

  1. এডোবি ফটোশপ বা থাম্বনাইল বানানো যায় এমন যে সফটওয়্যার গুলো আছে তার সম্পর্কে ভালো ধারনা অর্জন করতে হবে।
  2. কালার/রং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোথা কোন রং ব্যবহার করতে হবে।
  3. ফন্ট/ টাইপোগ্রাফি সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে। ভালো স্টাইলিস ফন্ট কালেকশন করতে হবে। 

এই বিষয় গুলো যদি আপনি শিখতে পারেন তাহলে আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবে পারবেন। আর যদি আপনি শিখতে না পারেন তাহলে যে ব্যাক্তি ভালো মানের থাম্বনাইল তৈরি করতে পারে তার সাথে যোগাযোগ করে থাম্বনাইল বানাতে হবে। এতে আপনার ব্যয় হতে পারে। কারণ যে ব্যক্তি আপনার থাম্বনাইল বানিয়ে দিবে আপনার তাকে তার পারিশ্রমিক দেওয়া লাগবে। 

আরো পড়ুন: সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সেরা ০৫টি ওয়েবসাইট

ভিডিওতে সঠিকভাবে টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং কিওয়ার্ড/#ট্যাগ দেওয়ার প্রয়োজনীতা

একটি ভিডিওতে ভিউয়ারসরা আসে প্রধানত চারভাবে যথা: 

  1. ইমপ্রেশন 
  2. নোটিফিকেশন
  3. সার্চ
  4. লিংক এর মাধম্যে।

আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে বুঝতে পারবেন। যেমন:

  • ইমপ্রেশন: ইমপ্রেশনের মাধ্যমে যে ভিউ গুলো হয় তা থাম্বনাইল দেখে এবং টাইটেলে কি লেখা আছে তা দেখে ভিউয়ারসদের যদি ভালো লাগে তাহলে তারা ভিডিওতে প্রবেশ করে। 
  • নোটিফিকেশন: নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে ভিউ আসে সেগুলোও আসে টাইটেল এ যে লেখা থাকে তা দেখে ভিউয়ারদের কাছে যদি ভালো মনে হয় তাহলে সেখান থেকে ক্লিক করে ভিডিওতে প্রবেশ করে। 
  • সার্চ: সার্চের মাধ্যমে যে ভিউ গুলো আসে সেগুলোও কিন্তু সঠিক টাইটেল ড্রেসক্রিপশন দেওয়া হলে তার মাধ্যমে ভিউ আসে। ভিউয়ার্সরা যখন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সেই কিওয়ার্ডের ভিডিও গুলো ইউটিউব তার সামনে প্রদর্শন করে থাকে। 
  • লিংক: লিংককের মাধম্যে যে ভিউয়ার্সরা আসে তারাও কিন্তু একটা লেখা বা টাইটেল দেখে আপনার ভিডিওতে আসে। 

তার মানে বুঝতে পারছেন ভিডিওর সঠিক টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং কিওয়ার্ড লেখা একটি ভিডিওর জন্য কতটা জরুরি। আপনি আপনার ভিডিও আপলোড করার আগে এই বিষয়গুলো ভালোভাবে রিসার্চ করে তারপর সেগুলো ভিডিওতে ব্যবহার করবেন। এর জন্য অনেক টুল, এক্সটেনশন আছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। 

সফল ইউটিউবার হতে হলে তথ্যবহুল ভিডিওর গুরুত্ব:

একটি তথ্যবহুল ভিডিও কটতা কার্যকরী হয় একজন সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার পিছনে তা একটি উদাহরণ এর মাধমে বোঝাই। মনে করুন একটি চকলেট বিক্রি করার জন্য কোম্পানি যেত ভাবে মার্কেটিং করা যায় সব রকম ভাবেই করছেন। বড় সেলিব্রিটি দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। জনবহুল জায়গায় বড় বিলবোর্ড দিয়েছেন। চকলেটের ডিজাইন কালার আকর্ষনীয় করেছেন। মানুষের দেখলেই জিভে জল আসার মত। এত প্রচার প্রচারণার ফলে কাস্টমার যখন সেই চকলেট ক্রয় করে খাবে। তখন যদি দেখে চকলেটের টেস্ট এবং ফ্লেবার একদম খারাপ। মুখে দেওয়ার মতো নয়। তাহলে কি একজন কাস্টমার পরবর্তিতে আর কিনে খাবে। পরবর্তী কি সে তো যেটা কিনেছে সেটাই পুরো খাবে না। যার ফলে কি হবে বুঝতে পারছেন।

ঠিক তেমনিভাবে আপনার চিন্তা করতে হবে যে ভিউয়ার্সরা আপনার ভিডিওতে যে আশা নিয়ে প্রবেশ করবে অথবা যে বিষয় জানার জন্য ক্লিক করবে। সেই বিষয়ে আপনি যদি একটা ক্লিয়ার ধারণা না দিতে পারেন তাহলে তো ভিউয়ার্সরা তার মূল্যবান সময় ব্যয় করে দেখবে না। কয়েক সেকেন্ড দেখার পরেই বের হয়ে যাবে। যার ফলে ইউটিউব অ্যালগরিদম বুঝতে পারবে যে এই ভিডিওটি ভালো নয়। এবং আপনার ভিডিও আর সাজেস্ট করবে না ভিউয়ার্সদের কাছে।

ইউটিউবে সফলতার / সফল ইউটিউবার হওয়ার জন্য ধৈর্য্য ধরা কতটুকু দরকার?

উপরে বলা প্রতিটি ধাপ যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে কাজ শুরু করেন। তাহলে আপনি ইউটিউব কন্টেন্টক্রিয়েশন যাত্রায় সঠিকভাবে পর্দাপণ করেছেন এইটুকু নিশ্চিত হতে পারেন। এর পর আপনার হাতে শুধু একটাই কাজ। যদি সফল ইউটিউবার জন্য ধৈর্য্য হারানো যাবে না। ধারাবাহিক ভাবে ভিডিও আপলোড করা।

মনে রাখবেন যে জিনিস খুব সহজেই অর্জন করা যায় তা কখনই আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। সুতরাং ইউটিউবে এসেই আপনি সফল হয়ে যাবেন এই চিন্তা মাথা থেকে ছেড়ে দিন। আপনি বরং এই চিন্তা করুন আমি ধারাবাহিকভাবে ১০০টি ভিডিও আপলোড করবো। আপনি যদি ৪ দিন পর পর, অথবা ৭ দিন পর পর ভিডিও আপলোড করতে পারেন। মুল বিষয় হলো আপনার ভিডিওতে কতটা ভিউ হচ্ছে তা মুল বিষয় না। মুল বিষয় থাকবে আপনি ১০০টি ভিডিও আপলোড করবেন। আর যে বিষয়টি মেনে চলবেন। বিগত ভিডিও থেকে পরের ভিডিওর মান উন্নত করতে।

আপনি যে বিষয়েই ভিডিও দেবেন চেষ্টা করবেন এই বিষয়ের উপর একটা কম্পিলিট ধারণা দিতে। আপনার ভিডিওটি আপলোড করার আগে আপনি নিজে একজন দর্শকের চোখে দেখে নেবেন ভিডিওটি কেমন হয়েছে। আপনার ছোট ভাই পরিবারের কেউ বা বন্ধু বান্ধবদের দেখাতে পারেন। বিশেষ করে যাদের এই বিষয়ে জ্ঞান আছে তাদের দেখানোর চেষ্টা করবেন। তাছাড়া আপনি যদি এমন মানুষকে দেখার যারা আপনার এই টপিকের কিছু বোঝে না বা দেখে না। তাহলে আপনি ডিমোটিভেট ও হতে পারেন। যদি তেমন কেউ না থাকে তাহলে দেখানোর প্রয়োজন নেই। আপনার শুধু একটাই কাজ থাকবে তা হলো প্রতিনিয়ত নিজের ভিডিও অডিও এবং কথা বলার ধরন উন্নত করতে।

এইভাবে যদি প্রতিনিয়ত ভিডিও দিতে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। কিন্তু আপনি যদি কারো কিছু শুধু কপি করে দেন তাহলে কখনই সম্ভব না। এই ১০০টি ভিডিওর মধ্যে দেখবেন অনেক ভিডিওতে ভালো ভিউ হবে। আবার দেখবেন কত ভিডিওদে কোন ভিউই হবে না। এটা নিয়ে কখনই মন খারাপ করা যাবে না। আপনি যদি এই শর্তগুলো মানতে পারেন তাহলে শুরু করতে পারেন আপনার ইউটিউব যাত্রা। স্বাগতম।

[ মনে রাখবেন আপনি যদি ভাবেন আমি একটি ভিডিওতে ভাইরাল হয়ে যাবো। তাহলে ভুল পথে পা বাড়িয়েছেন। ভাইরাল বা হঠাৎ পাওয়া কোন জিনিসই ভালো হয় না। তাই কখনওই মনে এমন চিন্তা আনবেন না। আর যারা এই ধরনে কথা বলে তাদের কথা শুনবেন ও না। ]

আমাদের ফেসবুক পেইজ: Tooaan Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *