পার্সোনাল লোন কিভাবে নেব তার বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে। আসুন জেনে নিই। পার্সোনাল লোন বলতে বোঝায় কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যে লোন নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত সকল কাজ করতে পারবেন তাকে পার্সোনাল লোন বলে।

লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন
আপনার যেকোন লোন নেওয়ার আগে লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। আপনি পার্সোনাল লোন নেওয়ার আগে ভালো করে জানতে হবে যে কোন ব্যাংকের কি কি সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে যার মধ্যে – সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক ইত্যাদি।
পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
ক্রমিক নং | যোগ্যতার | বিস্তারিত |
০১ | বয়স | ১৮-৫৫ বছর |
০২ | জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
০৩ | চাকুরীজীবিদের জন্য মাসিক আয় | ২০ হাজার টাকা হতে হবে। |
০৪ | বাড়ির মালিকদের জন্য | ২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে হবে। |
০৫ | ব্যবসায়ীদের জন্য | ৩০ হাজার টাকা মাসিক আয় থাকতে হবে। |
০৬ | অন্যান্যদের জন্য | লোন নিতে হলে জমির দলিল বা সরকারি চাকুরীজীবিদের গ্যারান্টার থাকতে হবে। |
আপনার এই যোগ্যতা গুলো যদি থেকে থাকে তাহলে আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন।
পার্সোনাল লোনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?

সকল ধরনের লোনের জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। তাই আপনি পার্সোনাল লোন নিতে গেলে যে সকল ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হবে তা দেওয়া হলো:
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের দুই কপি ফটোকপি।
- চাকুরীজীবিদের বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছেন তার আইডিকার্ডের দুই কপি ফটোকপি।
- ব্যবসায়ীদের জন্য টিন সার্টিফিকেটের ২ কপি ফটোকপি।
- বাড়ির মালিকদের জন্য জায়গার দলিলের মুলকপি।
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
- ট্যাক্স রির্টানের ফটোকপি লাগতে পারে।
- ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট।
- রেফারেন্সের জন্য দুইজন ব্যক্তির নাম, ছবি, মোবাইল নং, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- একজন গ্রান্টার লাগবে যার উপরোক্ত ব্যাক্তির মতো সকল ডকুমেন্ট লাগবে।
- এছাড়াও একজন নমিনি লাগবে। যার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা জন্ম সনদের ফটোকপি। অবশ্যই ডিজিটাল হতে হবে।
পার্সোনাল লোন নিলে তার ইন্টারেস্ট হার কত হবে।
পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সাধারণত ১০% থেকে ২৫% পর্যন্ত হতে পারে। এই ইন্টারেস্ট কম বেশি হতে পারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং লোনের পরিমানের উপর নির্ভর করে। আপনি পার্সোনাল লোন বা যে কোন লোন নেওয়ার আগে অন্যান্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খোজ খরব নিয়ে দেখবেন।
পার্সোনাল লোন এর মেয়াদ কত দিন হয়?
পার্সোনাল লোনের মেয়াদ ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই মেয়াদ ব্যাংক ভেদে কম বেশি হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি বেশি পরিমান টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে মেয়াদ বেশি হতে পারে।
আরো পড়ুন: ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই কিভাবে এবং কোন জায়গা থেকে পাবো?
পার্সোনাল লোনের আবেদন করার নিয়ম। পার্সোনাল লোন কিভাবে নেব
পার্সোনাল লোনের জন্য দুই ভাবেই আবেদন করা যায়।
- অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
- সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করা যায়।
অনলাইনের থেকে আপনি যদি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করেন তাহেলে রেসপন্স ভালো পাবেন। বর্তমানে ব্যাংক গুলো অনলাইনের প্রতিও বেশি ফোকাস দিয়ে থাকে। তাই আপনি বাড়ি বসেও আবেদন করতে পারবেন।
ক্রেডিট স্কোর ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া
ক্রেডিট স্কোর বলতে বোঝায় আপনার আয় কত। আপনাকে ব্যাংক যদি পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে তাহলে আপনি কি পরিশোধ করতে পারবেন কি না। এই সব বিশ্লেষণ করাই হলো ক্রেডিট স্কোর যাচাই করা। আপনি যে কোন ব্যাংকে যান আপনার ক্রেডিট স্কোর তার যাচাই করবেই।
পার্সোনাল লোন নিতে গিয়ে যে ভুল গুলো করবেন না
- আপনার অন্য কোন লোন আছে কিনা তা ব্যাংকে বলবেন না।
- আপনার আয়ের থেকে কিস্তি বেশি আসে এমন এমাউন্ট চাইবেন না।
- আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে নিবেন। কোন কারনে লোন নিতে চাইছেন তা বুঝিয়ে বলতে হবে।
লোন নেওয়ার আগে যে বিষয় গুলো চিন্তা করতে হবে
আপনি প্রথমত যদি কোন কাজ লোন না নিয়ে করতে পারেন তাহলে লোন নেওয়া হতে বিরত থাকুন। আর যদি আপনাকে লোন নিতে হয় তাহলে দেখবেন আপনার মাসিক বা দৈনিক আয় কত। আপনি লোন নিয়ে কি পরিশোধ করতে পারবেন কিনা।
আমাদের ফেসবুক পেইজ: তোয়ান
আপনি এমন অবস্থায় কখনও লোন নিবেন না যে আপনার লোনের কিস্তি দেওয়ার ভালো কোন উৎস নেই। কারণ আপনার লোনের কিস্তি যদি নিয়মিত দিতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার লোন কখনও পরিশোধ করতে পারবেন না।