
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোথায় সফলতা আগে পাওয়া যায়
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোথায় সফলতা আগে পাওয়া যায়? কোন প্লাটফর্মে বেশি আয় দেয়? এই ধরনের যত প্রশ্ন আছে তা আজকের পোস্টে আলোচনা ও আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করব।
ফেসবুক ও ইউটিউব দুই প্লাটফর্মেই শার্ট ভিডিও ও লং ভিডিও আপলোড করা যায়। এবং এই দুই প্লাটফর্মেই আপনি মনিটাইজেশন করে আয় করতে পারবেন। তবে এই দুই প্লাটফর্মেই রয়েছে মনিটাইজেশনের জন্য কিছু শর্ত। আপনি তাদের সময় মত শর্তগুলো পুরন করলে আপনি পেয়ে যাবেন মনিটাইজেশন। আর আপনি একবার মনিটাইজেশন পেয়ে গেলেই সেখান থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে।
তবে অনেকেই আছেন যারা ফেসবুকে এক জায়গায় কাজ করতে চায় অথবা ইউটিউবে। অনেক নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হচ্ছে কিন্তু তারা সঠিক নির্বাচন করতে পারছে না যে কোন প্লাটফর্মে কাজ করলে আগে সফলতা অর্জন করা যায়। এইজন্য আজকে এই পোস্টে কোন প্লাটফর্মে আগে সফলতা অর্জন করা যায় অথবা কোন প্লাটফর্মে বেশি টাকা আয় করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই কিভাবে এবং কোন জায়গা থেকে পাবো?
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। তবে ফেসবুক ও কিন্তু কম নয় এটি বিশ্বের তৃতীয় নাম্বার ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ধরা হয়। তাই আপনি চাইলে যেকোনো প্লাটফর্মে আপনি কন্টেনট ক্রিয়েটর হতে পারেন। অথবা আপনি যদি পারেন তাহলে এই দুটি প্লাটফর্মেই একই সাথে কাজ করতে পারবেন।
কোন প্লাটফর্মে সফলতা আগে পাওয়া যায়?
আচ্ছা সবচাইতে বেশি প্রশ্ন হল কোন প্ল্যাটফর্মে সফলতা আগে পাওয়া যায়। দেখুন সফলতা তার জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়। তাই আপনি যেখানে সবচাইতে বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন সেখানেই সফলতা পাওয়া যাবে। কিন্তু সবচাইতে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায় ফেসবুকে। এর কারণ হলো ফেসবুকে শেয়ার করার অপশন থাকে যেখানে দ্রুত তার ভিডিওটি শেয়ার করে অন্যান্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া যায়। যেটি আপনি ইউটিউবে করতে পারবেন না। ইউটিউবের ভিডিও অন্য ইউটিউব একাউন্টে সেরকমভাবে শেয়ার করা যায় না। কিন্তু ফেসবুকে আপনি যেকোনো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে কিছু বন্ধু বানিয়ে করে আপনার কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিউ চলে আসবে।
তাই দ্রুত ভিউ ভিডিওতে আনতে হলে আপনার ফেসবুকেই এগিয়ে থাকবে। তবে দ্রুত ভিউ এবং দ্রুত ভিডিও ভাইরাল হলেই সফলতা পাওয়া যায় না। সফলতার পেতে হলে আপনাকে অনেক পরিশ্রময় এবং অনেক সময় ধরে কাজ করতে হবে। তাই আপনার ফেসবুকে ভিডিওগুলো প্রথম দিক দিয়ে বেশি ভিউ আসলেও তবে কিছু দিম পর সেটি ধীরে ধীরে ভিউ আশা কমে যায়। আর অন্যদিকে ইউটিউবে আপনি আপনার ভিডিও আপলোড করলে প্রথম দিক দিয়ে তেমন আপনি ভিউজ পাবেন না তবে আপনার ভিডিও কনটেন্টটি ভালো হলে ধীরে ধীরে ভিডিওতে ভিউ আসবে। এবং আপনার যতদিন যাবে ততই আপনার ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই আপনি দ্রুত সফলতা পেতে পারেন ফেসবুক থেকে তবে ফেসবুক থেকে আপনি সেই সফলতা ধরে রাখতে পারবেন না ভবিষ্যতে। আর আপনি ইউটিউবে যদি ধীরে ধীরে কাজ করে সফলতা পেয়ে যান তাহলে সেই সফলতা ভবিষ্যতেও উন্নত হবে। তো বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পারছেন কোন প্লাটফর্মে আগে সফলতা পাওয়া যায় তবে সফলতা ধরে রাখার জন্য কোন প্লাটফর্ম ভালো।
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোথায় ইনকাম বেশি
নতুন ক্রিয়েটরদের আরেকটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় সেটি হল কোন প্লাটফর্মে ইনকাম বেশি দেয়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হবে ইউটিউব। ইউটিউব সবচেয়ে বেশি ইনকাম দিয়ে থাকে। তবে ফেসবুক ভিডিওতে বেশি ভিউজ আসে এভাবে থাকলো সেই তুলনায় ইউটিউবের ভিডিওতে কম ভিউস আসলেও ইনকাম বেশি দেয় ইউটিউব। তবে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না যে এক হাজার ভিউছে কত টাকা ইউটিউব বা ফেসবুকে দেয়। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার কনটেন্ট এবং তার ভিডিওটি কোন দেশ থেকে দেখেছে। তবে আপনি ধরে রাখেন সবচাইতে বেশি ইনকাম দিয়ে থাকে ইউটিউব।
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোথায় শর্ত বেশি বা কঠিন
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোথায় শর্ত বেশি বা কঠিন হয়ে থাকে। দেখুন তাদের শর্ত অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়। তাই তাদের শর্ত যদি না মানা হয় তাহলে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। তবে এখানে সহজ শর্তের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে ফেসবুকের মত কয়েকদিন বা কিছুদিন পর পর আপডেট দেয় না। ইউটিউব ২০১৮ সালের যে শর্ত রেখেছিল সেটি এখনো রয়েছে। আর অন্যদিকে ফেসবুক তারা প্রতিবছর তো নয় ছয় মাস পর পর শর্ত নিয়ে আসে। তাই প্রতিটা কনটেন্ট ক্রিশেটরদের বোঝার জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।
ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়ার শর্ত
ইউটিউবে এক হাজার সাবস্ক্রাইব ও চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এক বছরে সম্পূর্ণ করলে সেই ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্যতা হবে। আর ইউটিউব এর নতুন শর্ত হলো শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউ এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইব তিন মাসে পূর্ণ হলে মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য হবেন। তবে কিছু কিছু ইউটিউব চ্যানেলে মাত্র ৫০০ সাবস্ক্রাইব এবং ৩ মিলিয়ন শর্ট ভিডিও হলেও মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে তবে সেই মনিটাইজেশনে ইমকাম কম হবে কারণ এই শর্তে যে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় সেই মনিটাইজেশনে অ্যাডস লিমিট করা থাকে।
ফেসবুকে মনিটাইজেশন পাওয়ার শর্ত
ফেসবুকে আপনার রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে সেটি হতে পারে রিলস অথবা লং ভিডিও। আপনি প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে করতে তাদের শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে ফেসবুকে মনটাইজেশন পাওয়ার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে এবং সেই উপায় গুলো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই ফেসবুকে ময় টাজেসন পাওয়ার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শর্ত। ফেসবুকে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে এবং ফেসবুক প্রতিনিয়ত আপডেট করে সেই শর্তগুলো পরিবর্তন করে দেয়। তাই অনেক সময় ফেসবুকে মইটাজেশন পাওয়া সহজ হয় আবার অনেক সময় কঠিন হয়। তাই কি কি শর্ত পূরণ করে মনিটাইজেশন পেতে হবে এ বিষয়ে আমার না বলে আপনি সরাসরি ফেসবুকে গেলে সেগুলো দেখতে পারবেন।
ইউটিউব নাকি ফেসবুক কোথায় সমস্যা বেশি
আপনি যেকোনো প্লাটফর্মে কাজ করতে যান না কেন সে প্লাটফর্মে অবশ্যই সমস্যা থেকে থাকে। তবে কিছু প্লাটফর্মে রয়েছে কম সমস্যা আবার অনেক প্ল্যাটফর্মে রয়েছে বেশি সমস্যা। সেইরকমই সবচাইতে বেশি সমস্যা দেখা দেয় ফেসবুকে আর অন্যদিকে ইউটিউবে সমস্যা দেওয়ার আগেই সচেতন করেন। আর আপনি যদি ফেসবুকে কোন একটি ভিডিও বা ফটো আপলোড করেন তাদের সত্যের মতো যদি আপনার সেই ভিডিও বা ফটো না হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন এর সকল খুটিনাটি – গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য
আবারো অনেক সময় ফেসবুক তারা কোন প্রকার ওয়ারনিং ছাড়া এক একটা সমস্যা লাগিয়ে দেয়। আর আপনি যদি অন্যদিকে ইউটিউব দেখেন তাহলে আপনাকে কোন একটি ভুল হলে প্রথমে আপনাকে সচেতন করবে এবং একই ভুল দ্বিতীয়বার করলে সাত দিনের জন্য আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। এইভাবে 90 দিনের মধ্যে চারটি ভুল করলেই আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিবে। আর ফেসবুক আপনাকে কোন প্রকার সচেতন এবং কোন একটি ভুল হলেই কে একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়। তাই আপনি জেনে রাখুন ইউটিউব এ ফেসবুকের তুলনায় খুবই সমস্যা কম দেখায় তবে সচেতন করে দেয়। যেটি ফেসবুক সচেতন করেন না।
কোন ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানালে দ্রুত ভাইরাল হওয়া যায়
দেখুন প্রত্যেকটা ক্যাটাগরিই ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তবে এর মধ্যে দ্রুত সময়ে ভাইরাল হওয়ার জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন ব্লগিং, কমেডি, শর্ট ফিল্ম, নাটক, গান ও ট্রেনডিং বিষয়। এই সকল বিষয় আপনি ভিডিও তৈরি করলে দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সকল বিষয়ে আপি ভিডিও তৈরি করতে হলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ এবং অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে।
ভবিষ্যৎ এর জন্য কোন প্লাটফর্ম সেরা
আপনি যদি জানতে চান ভবিষ্যতের জন্য কোন প্লাটফর্ম সেরা? তাহলে আমি আপনাকে বলব ভবিষ্যতের জন্য ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম ই সেরা। তার কারণ হলো মানুষ মাতৃক ভুল তাই আপনি যদি ফেসবুকে ভুল করেন তাহলে সেই ভুলের মাশুল দিতে হয় অনেক। আর আপনি যদি ইউটিউবে ভুল করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে সচেতন করবে শুধু একবার নয় তিনবার আপনাকে সচেতন করবে। তাই আপনার যে চ্যানেল সেটি সুরক্ষা থাকবে সবচাইতে বেশি ইউটিউব এ। তাই আপনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার জন্য ইউটিউবে বেশি সময় ব্যয় করুন। যদি আপনি পারেন এই ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক কে ক্যারিয়ার গঠন করার চেষ্টা করুন।
তবে আপনি প্রাইমারি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউব কে বেছে নিবেন। তাহলে আপনি ভবিষ্যতে সুরক্ষা এবং সচেতনতা সুবিধাগুলো পাবেন। তো বন্ধুরা এই ছিল কিছু প্রশ্নের উত্তর। আপনার যদি আরো কোন তথ্য জানা থাকে তাহলে আমাদেরকে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা দ্রুত সময় আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দেব।