
ভিজিডি কার্ড অনলাইন আবেদন ২০২৫
ভিজিডি কার্ড অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম নতুনভাবে ২০২৫ সালের। মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে এখনো কয়েকটি সেবা মাঠ পর্যায়ে চালু রয়েছে। তার মধ্য ইতিমধ্য শুরু হয়ে গেছে ভিজিডি কার্ডের অনলাইন আবেদন। আপনি কিন্তু পরিষদের না গিয়ে ঘরে বসে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ভিজিটিং কার্ডের অনলাইন আবেদন ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
ডিজিডি কার্ড কি?
ভিজিডি অর্থ হলো Vulnerable Group Development Card অর্থাৎ এটি একটি অতি দরিদ্র নারীদের খাদ্য সহায়তা ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্ড।
কিভাবে ভিজিডি কার্ড অনলাইনে আবেদন করবেন?
ডিজিডি কার্ড পেতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং আপনার যোগ্যতা লাগবে। যেমন আপনি যদি ভিজিডি কার্ড করতে চান তাহলে কমপক্ষে বয়স ২০ থেকে ৫০ বছর হতে হবে। শুধুমাত্র মহিলারা এই ভিজিডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ভিজিডি কার্ডের আবেদন করার যোগ্যতা
- ১. আবেদনকারীর মহিলার বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- ২. আবেদনকারী যদি ভূমিহীন হয় অথবা ০.১৫ একর বা তার কম জমির মালিক হন তবে তিনি ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ৩. পরিবারের যদি কোন স্থায়ী আয়ের উৎস না থাকে এবং পরিবারে কোন উপার্জন সক্ষম সদস্য না থাকে তাহলে তিনি আবেদন করতে পারবেন।
- ৪. পরিবারের সদস্য সংখ্যা, পেশা সহ অন্যান্য তথ্য আছে কিনা সেগুলোর জমা দিতে হবে আবেদন ফরমে।
বর্তমান অনলাইনে সার্ভার সমস্যার হওয়ার কারণে অনেক সময় আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হয় না। এই কারণে আপনি দিনে না আবেদন করে রাত্রে আবেদন করলে আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে। তাই কখন হবে এটা নির্দিষ্ট নয় তবে আপনি রাতের দিকে বেশি চেষ্টা করতে পারেন।
প্রথমে আপনি আমার নিচের লিংকে ক্লিক করে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের আবেদন পেজে চলে আসুন অথবা আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করতে পারেন।
ধাপ-১: প্রথম পেজে আপনার ব্যক্তিগত নম্বর মানে মোবাইল নাম্বার আছে কিনা সেটি সিলেট করতে হবে। তারপর আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং আবেদনকারীর জন্ম তারিখ।
এরপর আবেদনকারী যোগাযোগের তথ্য বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে যেমন: বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন। তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি “জমা দিন” বাটনে ক্লিক করুন।


ধাপ-২: আপনি যে নাম্বারটি দিয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন সেই নাম্বারে একটি ওটিপি কোড যাবে ৪ সংখ্যার সেটি সঠিকভাবে বসিয়ে ওটিপি জমা দিন বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৩:
ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, আবেদনকারীর নাম ইংরেজি, আবেদনকারীর নাম বাংলা, পিতার নাম, মাতার নাম, অভিভাবক কে আছেন, ধর্ম, মোবাইল নাম্বার ও আবেদনকারী ছবি মিলিয়ে দেখবেন যদি কোথাও ভুল থাকে বা ফাঁকা থাকে তাহলে সেটি পূরণ করে দিন।

যোগাযোগের তথ্য: বর্তমান ঠিকানার যোগাযোগ তথ্য দিবেন যেমন: বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম, পোস্ট অফিস ও বাড়ির ঠিকানা।

যোগাযোগের তথ্য স্থায়ী ঠিকানা যদি একই স্থানে বসবাস করেন তাহলে আপনি ঠিক করে দিবেন বর্তমান ঠিকানার অনুরূপ।

অন্যান্য তথ্যসমূহ: এখানে যে সকল তথ্য থাকবে না বা যেগুলো ফাঁকা রয়েছে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এখানে রয়েছে আপনার বয়স, সরকারের অন্য কোন কর্মসূচি বা পরিকল্পের উপভোগী কিনা, বৈভাবেিক অবস্থা, স্থায়ী ও আয়ের উৎস, পরিবারের সদস্য সংখ্যা, পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তির পেশা, পরিবারের নিজস্ব স্বৈরাচার্গার আছে কিনা, আবেদনকারীর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কিনা, বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কিনা,
পরিবারের বৈদ্যুতিক পাখা আছে কি, পরিবারের নিজস্ব টিউবেল আছে কি, ঘরের দেওয়াল তৈরি কিসের, জমির মালিকানা, পরিবারের কিশোরী, পরিবারে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে আছে কিনা, পরিবারের অটিজম কর্মের অক্ষম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী সদস্য আছে কিনা, পরিবারের এসিড সারভাইভার নারী আছে কিনা, ক্রেতাগত অভিবাসীর পরিবার বা প্রথাগত অভিবাসী নারী?


এই সকল তথ্য আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করে তারপরে নিচে দুটি অপশন পাবেন সেখানে মাত্র টিক মার্ক করে দিতে হবে।
এরপর সকল তথ্য আবারও যাচাই করে নিবেন। কারণ একবার ভুল হয়ে গেলে কিন্তু পরবর্তীতে সমাধান করার কোন অপশন পাবেন না। এইজন্য আপনি আবারো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুন যে কোথাও কোন ভুল আছে কিনা। যদি সবকিছু তত সঠিক থাকে তাহলে আপনি “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেদনটি যদি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে সরাসরি অভিনন্দন জানিয়ে দিবে।

এরপর সেখানে দেখবেন আবেদনকৃত ফরম প্রিন্ট করুন এই অপশনে ক্লিক করে অবশ্যই আপনার পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিবেন।

যদি আপনার পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করতে তখন সমস্যা হয় তাহলে আপনি কিছু সময় পরে বা আবার চেষ্টা করুন তবে এখন আপনাকে উপরে একটিবার দেখতে পারবেন সেখানে লেখা রয়েছে “আবেদনকৃত ফরম প্রিন্ট করুন” এই বাটনে ক্লিক করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিবেন এবং যে নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলেছেন সেই নাম্বারে একটি otp কোড যাবে সেটি দিলে আপনাকে সরাসরি পিডিএফ ফাইল এর পেজে নিয়ে আসবে।

এ ছাড়া আপনি আপনার একাউন্টটি লগইন করে কোন তথ্য কোন পর্যায়ে রয়েছে সেগুলো দেখতে পারবেন। আপনি যদি এখানে কোন রকম কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি জরুরি সহযোগী তাই ফোন করতে পারেন এজন্য আপনি উপরে ‘সহায়তা” বাটনে ক্লিক করে টেলিফোন নাম্বারটি পেয়ে যাবেন।

তো বন্ধুরা এই ছিল 2025 সালের এই মে মাসে কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন ভিজিডি কার্ডের জন্য। আপনি ভিজিডি কার্ড করতে পারলে আপনি প্রতি মাসে অথবা তাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা যেমন ফ্রিতে ৩০ কেজি চাউল ও অনন্য সেবা।
আশা করি আপনি আমার এই ধাপগুলো ফলো করলে আপনি নিজেই ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার আশেপাশে যদি এরকম অতি দরিদ্র পরিবার থেকে থাকে তার জন্য আবেদন সম্পন্ন করে দিতে পারবেন। এখানে অনলাইনে আবেদন করার পর যদি আপনার এটি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনার মোবাইল ফোনে হয়তো যোগাযোগ করতে পারেন না হয় আপনি সরাসরি পরিষদে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ভিজিডি কার্ডের জন্য কোন প্রকার টাকা লাগেনা তাই এই কাজটি করে দেওয়ার জন্য যদি কেউ টাকা দাবি করে থাকে তাহলে আপনি প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারেন।