সুন্নতি দাড়ির স্টাইল – ইসলামিক গাইডলাইন অনুযায়ী দাড়ির স্টাইল

Share This Post
সুন্নতি দাড়ির স্টাইল

সুন্নতি দাড়ির স্টাইল: হাদিসে দাড়ি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “তোমরা দাড়ি লম্বা করো এবং গোঁফ ছোট করো।” (সহিহ বুখারি: ৫৮৯২, সহিহ মুসলিম: ২৫৯)। তাই ইসলামের গাইডলাইন মেনে আমরা আপনাদের কিছু সুন্নতি দাড়ির স্টাইল নিচে দিয়েছি। যেগুলোর মতো করে আপনি দাড়ি কাটতে পারেন। 

সুন্নতি দাড়ির রাখার নিয়ম

হাদিস অনুযায়ী, দাড়ি লম্বা রাখতে বলা হয়েছে। সাধারণত, এক মুষ্টি (প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্যকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে, এর চেয়ে বেশি লম্বা রাখাও জায়েজ।

গোঁফের বিষয়

গোঁফ ছোট করতে হবে যেন তা ঠোঁটের ওপর না ঢাকে। হাদিসে বলা হয়েছে: “যে ব্যক্তি গোঁফ ছাঁটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।” (সুনানে নাসাঈ: ৫০৪৭)

দাড়ি সুন্দর রাখার টিপস ইসলামিক মত অনুসারে?

দাড়ি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখার জন্য ইসলামিক গাইডলাইন এবং ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু উপযোগী টিপস নিচে দেওয়া হলো:

  1. নিয়মিত পরিষ্কার করা: নিয়মিত দাঁড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাদিসে দাড়ি ধোয়ার কথা উল্লেখ আছে (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৫)। দাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন অথবা দাড়ির জন্য বিশেষ কোনো সাবান ব্যবহার করলে দাড়ি পরিষ্কার থাকে।
  2. তেল বা বাম ব্যবহার: আপনি প্রতিনিয়ত দাড়িতে প্রাকৃতিক তেল যেমন নারকেল তেল, বাদাম তেল ব্যবহার করুন। 
  3. নিয়মিত আঁচড়ানো: আপনি যদি দাড়ি নিয়মিত আজ চান তাহলে দাড়িতে কোন ময়লা থাকবে না যা শরীয়ত মোতাবেক একটি সুন্নতের কাজ
  4. গোঁফ ও দাড়ি ছাঁটাই: গোঁফ ছোট রাখুন যেন ঠোঁট ঢেকে না যায়, হাদিস অনুযায়ী (সুনানে নাসাঈ: ৫০৪৭)।
  5. স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি: দাড়ির বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন, ভিটামিন (বিশেষ করে বায়োটিন, ভিটামিন ই) এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন ডিম, বাদাম, মাছ, ফল ও শাকসবজি। 
  6. পরিবেশের প্রভাব থেকে সুরক্ষা: ধুলোবালি বা দূষণ থেকে দাড়ি রক্ষা করতে বাইরে যাওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন।

সুন্নতি দাড়ির স্টাইল

সুন্নতি দাড়ির ছবি

সুন্নতি দাড়ি রাখার স্টাইল

সুন্নতি দাড়ি

ইসলামিক দাড়ির স্টাইল

মুসলমান ধর্ম অনুযায়ী প্রতিটি মুসলমান পুরুষের দাড়ি রাখা সুন্নত। ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ রয়েছে দাড়ি রাখার সম্পর্কে অনেক বিধান তাই আমাদের সবার দাড়ি রাখতে হবে। মুখে দাড়ি রাখলে মুখের ত্বক ভালো থাকে। সুন্নতি দাড়ির স্টাইল

আরো পড়ুন:

50+ নতুন দাড়ির স্টাইল পিকচার ২০২৫

দাড়ি রাখা সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক অনেক উপকার রয়েছে যেগুলো আপনি যদি ইসলামিক আইন অনুযায়ী দাড়ি রাখেন তাহলে উপকৃত হবেন।

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ

১। সুন্নত পালন:

  • দাড়ি রাখা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। হাদিসে বলা হয়েছে, “তোমরা দাড়ি লম্বা করো এবং গোঁফ ছোট করো।” (সহিহ বুখারি: ৫৮৯২)। এটি পালন করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াব অর্জিত হয়।
  • অনেক ইসলামী স্কলারের মতে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব, যা ইসলামী পরিচয়ের অংশ

    ২। ইসলামী পরিচয় ও ভ্রাতৃত্ব:

    • দাড়ি মুসলিম পুরুষের পরিচয়ের একটি প্রতীক। এটি মুসলিম ভাইদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
    • অন্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে পৃথক পরিচয় প্রকাশ করে (হাদিস: সহিহ মুসলিম: ২৫৯)।

    বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

    ত্বকের সুরক্ষা:

    • দাড়ি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে, যা ত্বকের ক্যানসার ও অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি কমায়।
    • ধুলোবালি ও দূষণ থেকে মুখের ত্বককে আংশিক সুরক্ষা দেয়।

      অ্যালার্জি ও সংক্রমণ প্রতিরোধ:

      • দাড়ি ধুলো ও অ্যালার্জেন ফিল্টার করে, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।
      • নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে দাড়ি ত্বকের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

      Leave a Reply

      Your email address will not be published. Required fields are marked *