ডাইনামিক লুক আর অ্যাডভান্স পারফরম্যান্স! CFMOTO 150SC কি বাজারের সেরা স্পোর্টস স্কুটার?

Share This Post
CFMOTO 150SC কি বাজারের সেরা স্পোর্টস স্কুটার
ডাইনামিক লুক আর অ্যাডভান্স পারফরম্যান্স! CFMOTO 150SC কি বাজারের সেরা স্পোর্টস স্কুটার?

CFMOTO 150SC: আমাদের সমাজে বর্তমানে স্পোর্টস বাইকের পাশাপাশি স্কুটার বাইকেরও চাহিদা বাড়ছে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে এমন একটি স্পোর্টস স্কুটার নিয়ে এসেছি যেটা আপনার পছন্দ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। 

কারণ এই স্পোর্টস স্কুটারটি বর্তমান যে সকল স্কুটার আছে তার থেকে আপডেট মডেল তৈরি করা হয়েছে। যা দেখা মাত্র যারা স্পোর্টস স্কুটারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট আছে অথবা স্পোর্টস স্কুটার পছন্দ করে থাকেন। তাদের জন্য হবে অনেক ভালো একটি অপশন। যে স্পোর্টস স্কুটার্স নিয়ে এসেছি সেটিতে রয়েছে মোস্ট এডভান্স ফিচারসহ আরো নানা ধরনের সুবিধা। ডাইনামিক লুকের এই স্পোর্টস স্কুটার এর নাম হলো CFMOTO 150SC। এটিতে রয়েছে এক্সসিলেন্ট ফুয়েল এফিসিয়েন্সি। আরও রয়েছে আরামে বসে ড্রাইভ করার দুর্দান্ত এক্সপেরিয়েন্স। এই বাইকটির ব্রেক এবং সাসপেনশন ফিডব্যাক কোথায় অসাধারণ। 

CFMoto 150SC স্কুটারটির ডিজাইন

চাবির কোয়ালিটি

এই বাইকটির চাবির দিকে যদি দেখি তাহলে দেখা যায়। এই বাইকটির চাবিটি অনেক প্রিমিয়াম লুকের করা হয়েছে। কারন এটি আপনি যদি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই চাবিটি একটি প্রিমিয়াম বাইকের চাবির মতনই করা হয়েছে। চাবিটির একটি বড় দিক হলো এটি একটি ওয়্যারলেস সিস্টেম চাবি। যার কারনে আপনি দূর থেকেই এই স্কুটারটি অন অফ করতে পারবেন এবং লক আনলক করে রাখতে পারবেন। যে কেউ দেখে মনে করবে একটি একটি ফোর হুইলের চাবি। 

কালার

CFMoto 150SC এই স্কুটারটির চারটি কালার রয়েছে তার প্রতিটি কালারই দুর্দান্ত। 

  • Space Silver (মহাকাশ রূপা)
  • Solar Silver (সৌর রূপা)
  • Storm Grey (ঝড় ধূসর)
  • Gem Black (রত্ন কালো)

এই চারটি কালার এর মধ্যে আর সবগুলো কালার অনেক ভালো। তারপরেও আমার সবচেয়ে স্পেস সিলভার রংয়ের স্কুটারটি বেশি ভালো লেগেছে। কারণ এই কালামের দিকে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখতে পারবেন সিলভার কালার এর সাথে ডিপ একুয়ার একটি কম্বিনেশন রয়েছে যা দেখতে অপরূপ। 

হেডলাইট

সামনের দিকের অ্যারোডায়নামিক লুকের সাথে একটি বড় হেডলাইট দেওয়া হয়েছে। যার কারণে স্কুটারটির বডির সাথে ভালো মানিয়েছে। আর এই হেডলাইটে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ আলো পাবেন রাতের বেলায় ড্রাইভ করার জন্য। 

বডি

স্কুটারটির পিছনে লম্বা দুটি গ্যাবরিয়েল থাকায় তাকে অনেক বেশি স্পোর্টিং এবং স্টাইলিশ দেখায়। শুধুমাত্র এটাই নয় যেহেতু এটি একটি স্পটি স্কুটার তার জন্য এই স্কুটারটির পা রাখার দুইটি স্পেস রাখা হয়েছে। একটি জায়গায় আপনি যখন রিলাক্সে ড্রাইভ করবেন তখন পা রাখবেন এবং তার একটু সামনে আরেকটা পা রাখার স্পেস রয়েছে যেখানে পা রেখে আপনি দ্রুত গতিতে স্কুটারটি ড্রাইভ করতে পারবেন। তার মানে বুঝতে পারছেন কোম্পানি তাদের কথার সাথে কাজের কতটা মিল রেখেছে। 

হেডলাইটের দুই পাশে নিচে স্টাইলের দুইটি অ্যান্ডিক্যাটর লাইট দেওয়া হয়েছে যা আপনাকে অনেক ভিরের মধ্যেও অন্যান্য স্কুটার থেকে আলাদা করে রাখবে। পিছনে একটি চেম্বার এর মধ্যে দুইটি এলইডি ইন্ডিকেটর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এইচ সেফ একটি টেললাইট দেওয়া হয়েছে। 

স্কুটারটিতে একটি বালকির সিঙ্গেল একজস্ট ক্যাটালগ মাফলার ব্যবহার করা হয়েছে। যেটার সাউন্ড স্ফট। 

স্কুটারটির সামনে দুইটি কম্পারমেন্ট দেওয়া হয়েছে। একটা হলো সামনের বাম পাশে। একটিতে আপনি পানির বোতল বা অন্যান্য যে কোন জিনিস রাখতে পারবেন। রেখে একটি আটকে দিতে পারবেন। আর ডান পাশে রয়েছে একটি হলো ফুয়েল ট্যাঙ্ক কম্পারমেন্ট। যা খুবই সুন্দর। এটির বাটন সিস্টেম রয়েছে। যা প্রেস করলে অটোমেটিক সিস্টেমে খুলে যায়। 

আর প্রতিটি স্কুটারে যে কমন একটি কম্পারমেন্ট থাকে তা হলো সিটের নিচের কম্পারমেন্ট। এটির ও সিটের নিচে বড় একটি কম্পারমেন্ট রয়েছে। যেখানে আপনি হেলমেট সহ আরো বড় কোন জিনিস রাখাতে পারবেন। 

সিট

স্কুলের টির সিট হল রাইটারের সেট থেকে পিলিয়নের সিট টা একটু উচু যার কারণে দুইজনেরই অনেক কম্ফোর্টেবল হবে। এই উঁচু নিচু হওয়াতে এই স্কুটারটিকে আরো বেশি একটি স্পোর্টস স্কুটারের লুক আসে। 

আরো পড়ুন: জ্বালানির চিন্তা বাদ – মাত্র ৯৪,৯০০ টাকায় ইলেকট্রিক বাইক এখন আপনার হাতের নাগালে।

CFMoto 150SC ইঞ্চিন ও পারফরমেঞ্চ

CFMoto 150SC স্কুটারটি তে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫৯ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ২-ভালভ, SOHC, লিকুইড কুলড ইঞ্চিন। এই স্কুটারটিতে সর্বোচ্চ পাওয়ার উৎপন্ন করে 10.5kw/8,250rpm এছাড়াও সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়ার উৎপন্ন করে 14.2Nm/6,500rpm. তাছাড়াও একটিতে বোসের এফআই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে বলা যায় এই বাইকটি অনেক ভালো একটি পারফরমেন্স ও মাইলেস দিবে। 

এই স্কুটারটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ১,৯১৫ মিমি, ৭৫০ মিমি এবং ১,১২০ মিমি, যা একটি পরিপাটি ও ভারসাম্যপূর্ণ গঠন নিশ্চিত করে। এর হুইলবেস ১,৩১৫ মিমি, যা চলার সময় স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। সিটের উচ্চতা ৭৬৫ মিমি, ফলে বিভিন্ন উচ্চতার চালকদের জন্য এটি আরামদায়ক। ন্যূনতম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৩৫ মিমি হওয়ায় শহরের রাস্তায় সহজে চলাচল সম্ভব। স্কুটারটির ফুয়েল ট্যাংকে ৮.৫ লিটার জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এবং এর কার্ব ওজন ১৩৫ কেজি। রঙের বিকল্প হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে সোলার সিলভার, জেম ব্ল্যাক, স্টর্ম গ্রে ও স্পেস সিলভার—যা স্কুটারটির লুককে করে আরও আকর্ষণীয়।

এই স্কুটারটিতে আধুনিক সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যা রাইডিং অভিজ্ঞতাকে করে আরও মসৃণ ও নিরাপদ। সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন এবং পেছনে টুইন শক অ্যাবজর্বার, যা রাস্তায় চলার সময় স্থিতিশীলতা ও আরামদায়কতা নিশ্চিত করে। ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে, সামনেও এবং পিছনেও রয়েছে হাইড্রোলিক সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক, যা দ্রুত ও কার্যকরী ব্রেকিং সুবিধা দেয়। এ ছাড়াও ডুয়াল চ্যানেল ABS প্রযুক্তি স্কিডিং রোধ করে নিরাপত্তা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে তোলে। টায়ার সাইজের দিক থেকেও স্কুটারটি উন্নত—সামনের টায়ার 110/70-14M/C 50P এবং পিছনের টায়ার 130/70-13M/C 63P, যা রাস্তায় দারুণ গ্রিপ নিশ্চিত করে। সব মিলিয়ে এটি একটি পারফর্মেন্স ও সেফটির দিক থেকে ভারসাম্যপূর্ণ স্কুটার।

বাংলাদেশে cfmoto 150sc এর দাম?

এই স্পোর্টি স্কুটারটির প্রাইজ হলো ৩,৫৮,৫০০ টাকা। আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে অবশ্যই যে এতো টাকা দিয়ে একটি স্কুটার কিনব। তাহলে আপনাদের বলি যে বর্তমানে বাজারে যে সকল স্কুটার বাইক এতো এতো ফিচার রয়েছে সেগুলোর সাথে কম্পেয়ার করে দেখবেন। আসলে কত টাকা ডিসটেন্স আছে, কি কম আছে তা বুঝতে পারবেন। আপনার মতে এই বাইকটির দাম ঠিক আছে কিনা সেটা কমেন্টে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *