পাগল করা ফিচার নিয়ে আসলো হোন্ডা – HONDA NC750X DCT Review

Share This Post
HONDA NC750X DCT

HONDA NC750X DCT হলো হোন্ডার একটি মিড-সাইজ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার বাইক। হোন্ডা এনসি৭৫০এক্স ডিসিটি বাইকটির বিশেষ আকর্ষন হলো DCT অর্থাৎ (Dual Clutch Transmission) সিস্টেম। বাইকটির সামনে পিছনে ডুয়েল ABS রয়েছে। যা সাধারণত অন্য বাইক দেয় না। যা বাইকটিকে একেবারে অটো গিয়ারে চালানোর সুবিধা দেয়। ফলে শহরের যানযট বা লং রাইডে চালানোর সময় কষ্ট হয় না। বাইটি আরামছে চালিয়ে অনেক দূরে যাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: HERO KARIZMA XMR 250 – হিরো কারিশমা XMR 250 দেশ কাপাঁবে

HONDA NC750X DCT Review চালানোর অভিজ্ঞতা:

HONDA NC750X চালানো অভিজ্ঞতা এক কথায় অসাধারণ। এত আরামদায় বাইক বাজারে নেই বললেই চলে। বাইনটির সাসপেনশন সেটআপ, উঁচু হ্যান্ডেলবার ও আরামদায়ক সিট লং জার্নির জন্য একদম পারফেক্ট। হোন্ডা এসসি৭৫০এক্স বাইকটিতে DCT থাকায় আপনার ক্লাচ নিয়ে ভাবতে হয় না- শুধু গিয়ার দিন, বাইক নিজে নিজেই গিয়ার পাল্টাবে।

যারা মোটরসাইকেল চালাতে ভালোবাসেন কিন্তু ম্যানুয়াল গিয়ারে সমস্যায় পড়েন, তাদের জন্য এটা চমৎকার অপশন। HONDA NC750X DCT একটি অটোমেটিক গিয়ার থাকায় চালানোর কোন সমস্যা নেই। 

HONDA NC750X DCT: মূল স্পেসিফিকেশন

  • ইঞ্জিন: 745cc, লিকুইড-কুল্ড, four-stroke 55º parallel-twin
  • পাওয়ার: 58 bhp
  • টর্ক: 69 Nm
  • ট্রান্সমিশন: 6-স্পিড অটোমেটিক ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন (Dual-Clutch Transmission)
  • ওজন: 230 kg (ওয়েট)
  • ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি: 3.8 gallons
  • টায়ার সাইজ: ফ্রন্ট- 120/70ZR-17 radial, রিয়ার- 160/60ZR-17 radial
  • ব্রেকিং সিস্টেম: ফ্রন্ট- Single 320mm wave disc; 2-channel ABS, রিয়ার- Single 240mm wave disc; 2-channel ABS
  • সাসপেনশন: ফ্রন্ট- 41mm Showa telescopic fork; 4.7-inch travel, রিয়ার- Pro-Link® single shock; 4.2-inch travel

HONDA NC750X DCT বাইকের ইঞ্চিনের শক্তি ৭৫৫ সিসি থাকায় আপনি চলন্ত বাইক মুহুর্তের মধ্যে থামিয়ে  দিতে পারবেন। যার ফলে দূর্ঘটনা অন্যান্য বাইক থেকে তুলনামুলক এড়িয়ে চলার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। 

HONDA NC750X DCT এডভান্স ফিচার

সামনে রয়েছে হেলমেট রাখার জন্য বা প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য রয়েছে একটি ডিকি। অন্যান্য বাইকের যেখানে তেলের ট্যাঙ্কি থাকে এই বাইকটি সেখানে ডিকি দিয়েছে। তাহলে আপনাদের মনে হচ্ছে তাহলে ফুয়েল ট্যাঙ্ক কোথায়। তা দেখুন নিচের ছবি থেকে।

পিছনে সিটের নিচে সুন্দর ভাবে ব্যবস্থাপনা করেছেন। বাইকের লুক দেখলেই মাথা নষ্ট হয়ে যাবে। দুর্দান্ত ফিচার।

কাদের এই বাইকটি কেনা উচিত?

আপনি যদি বেশি এডভেঞ্চার ড্রাইভ করতে চান অর্থাৎ প্রায়ই দূরে যাওয়া আসা করেন তাহলে আপনি কিনতে পারেন। তাছাড়া অন্যান্যরা এই বাইকটি না কেনাই ভালো। কারণ বাইকটির দাম অনেক বেশি তাই আপনি কেনার আগে চিন্তা ভাবনা করে তারপর কিনুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *