Revoo X TECNO: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক, জানুন দাম ও ফিচার

Share This Post
Revoo X TECNO: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক, জানুন দাম ও ফিচার
Revoo X TECNO: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক, জানুন দাম ও ফিচার

TECNO সম্প্রতি তাদের Revoo X TECNO ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক বাংলাদেশে বাজারে এনেছে। আধুনিক ডিজাইন, উন্নত ফিচার এবং দুর্দান্ত মাইলেজ নিয়ে বাইকটি ইতিমধ্যে বাইকারদের মধ্যে আলোচনায় এসেছে। চলুন দেখে নিই বিস্তারিত।

টেকনো (TECNO) কোম্পানি ইতিমধ্যেই বাজারে একটি স্বনামধন্য মোবাইল ফোন ব্রান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তারা এই পরিস্থিতির পাশাপাশি বর্তমানে অটোমোবাইলস সেক্টরে একটি সুনাম অর্জন করতে যাচ্ছে। তার জন্য তাদের প্রথম আকর্ষণ হল Revoo X TECNO এই ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকটি।

বাংলাদেশে টেকনো কোম্পানি নিয়ে আসলো নতুন একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক। বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্ববাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার গুলো যতটা জনপ্রিয় হয়েছে। তার পাশাপাশি বর্তমানে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শুরু হয়েছে ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকগুলো। আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর দিকে দেখি তাহলে বুঝতে পারি। 

বর্তমানে পেট্রোল চালিত যে সকল বাইক আছে তার থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ইলেকট্রিক স্পোর্টস এবং ক্রুজার বাইকগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ টেকনো এবং রিবো কোম্পানী কোলাবরেশন করে তাদের নতুন একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক বাজারে এনেছে যার নাম হল রিভার্স টেকনো। Revoo X Tecno এই বাইকটি বাংলাদেশে এখনো অ্যাভেলেবল হয়নি সব জায়গায়। শুধুমাত্র তারা লঞ্চ করেছে।

Revoo X TECNO: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক, জানুন দাম ও ফিচার

Revoo X Tecno ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকের বিস্তারিত

Tecno ব্রান্ডের এই বাইকটির মডেল হলো Revoo S01 যা রিভো এক্স টেকনো নামে বলা হয়েছে।  Revoo X Tecno এই বাইকরে রেঞ্জ হলো ১৬০ কিলোমিটার। মানে আপনি এই বাইকটি একবার ফুল চার্জ করলে ১৬০ কিলোমিটার চলবে। সেই সাথে আপনি পেয়ে যাবেন সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগ মানে অনেক বেশি যা একটা পেট্রোল চালিত বাইকের মতোই ফিল দিবে। তাই আপনি অনেক মজা পাবেন এই বাইকটি রাইড করে। 

Revoo X Tecno এই বাইকটি তারা টেকনোর ফ্লাগশিপ শোরুম ঢাকা উত্তরায় এই বাইকটি নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় AI লাগছে শোরুম হল টেকনো এই শোরুমটি। মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডার্ট ট্রাক বাইক টেস্টে পারফরমেন্স করেছিলো। সেখানে অনেক ভালো রেজাল্ট করেছিলো এই বাইকটি। তার কারণে Revoo X Tecno ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকটি ২০২৫ এ তারা বাজারে এনেছে। তার মানে বোঝা যায় এই বাইকটির এমন একটি এক্সপ্রিয়েন্স আছে বলেই তাদের মনে হয়েছে বাইকটি বাংলাদেশে ভালো পারফরমেন্স করতে পারবে। তাই টেকনো এবং রিভো কোম্পারি এই বাইকটি লঞ্চ করেছে। 

Revoo X Tecno ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকের ব্যাটারি কেমন?

এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৭২ ভোল্টের ৮০ এম্পিয়ারের লিথিয়াম আয়নের একটি ব্যাটারি। লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারি হওয়ায় আশা করা যায় এই ব্যাটারি ভালো পারফরম্যান্স দেবে। যার কারণে আপনি চার্জ নিয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন না। ১ চার্জে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যাবে যা অনেক ভালো একটি দিক। আপনি পেট্রোল চালিত একটি বাইক ১৬০ কিলো চালালে যে অর্থ ব্যয় হতো তার থেকে অনেক অনেক গুণ টাকা বাচাতে পারছেন। 

Revoo X Tecno বাইকটির দাম ও ভ্যারিয়েন্ট

সবেমাত্র বাংলাদেশে এই বাইকটি লঞ্চ হয়েছে। বর্তমানে এই বাইকটির এই একটি ভেরিয়েন্টই পাওয়া যাচ্ছে। Tecno ব্রান্ডের এই বাইকটির মডেল হলো Revoo S01. যার দাম এখনো নির্ধারিত ভাবে জানা যায়নি।

Revoo X TECNO: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক, জানুন দাম ও ফিচার

Revoo X Tecno ফিচার

এই বাইকটির ব্রেকিং হিসেবে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক। তার পাশাপাশি পেয়ে যাচ্ছেন আপনি টিউবলেস টায়ার। এই বাইকটিতে একটি ডিজিটাল স্পিড মিটার ব্যবহার করা হয়েছে। আরো রয়েছে তিন পার্টের হ্যান্ডেল বার। এই সব মিলিয়েই একটি আকর্ষণীয় ডিজাইন করে তোলা হয়েছে। তাই আপনার যদি পছন্দ হয়ে থাকে বাইকটি তাহলে টেকনো ফ্লাগশিপ শোরুম থেকে দেখে আসতে পারেন।

আরো পড়ুন: আপনার প্রতিদিনের যাত্রা বদলে দেবে YADEA T5 ইলেকট্রিক স্কুটার: যা জানা জরুরি!

Revoo X Tecno এর Revoo S01 মডেলের বাইকটি কার জন্য উপযুক্ত?

এই বাইকটি মূলত শহরের ভেতরে চলাচলের জন্য আদর্শ।যারা একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক চাচ্ছেন তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হবে Revoo X Tecno এর Revoo S01 এই বাইকটি। কারন এই বাইকটি আপনি দৈনন্দিন যে কাজ তার সবগুলোই করতে পারবেন। অফিসগামী, শিক্ষার্থী এবং ডেলিভারি রাইডারদের জন্য এটি বেশ উপযোগী হবে।

সবকিছু বিবেচনা করলে দেকা যায় আকর্ষনীয় ডিজাইন, ভালো মাইলেজ, বাজেটের মধ্যে এই বাইকটি অনেক ভালো। তাছাড়া আপনি ভবিষ্যৎ পরিবেশের জন্য ভালো করতে চাইলে এটি হবে হতে পারে আদর্শ নির্বাচন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *