পেট্রোলের দামের চিন্তা শেষ! Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এখন বাংলাদেশে | পরিবেশবান্ধব ও পকেটসই সমাধান

Share This Post
Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এখন বাংলাদেশে
Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এখন বাংলাদেশে

Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এখন বাংলাদেশের বাজারে এসেছে একটি বিপ্লবী পরিবহন সমাধান হিসেবে। এই উন্নত প্রযুক্তির স্কুটারটি পরিবেশবান্ধব এবং দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য একটি আদর্শ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। 

আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করতে হয়। ঐতিহ্যবাহী পরিবহন মাধ্যম যেমন অটোরিক্সা, রিক্সা, সিএনজি অথবা বাসের উপর নির্ভরশীলতা প্রতিদিনের যাতায়াত খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।

Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এই সমস্যার একটি কার্যকর ও টেকসই সমাধান প্রদান করে। এটি কেবলমাত্র দৈনিক যাতায়াত খরচ কমায় না, বরং পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরো পড়ুন: বাজাজ ডোমিনার 400 এর নতুন ভেরিয়েন্ট বাজারে – থাকছে কী কী চমক, দেখে নিন!

Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটার এর সুবিধা

ইলেকট্রনিক স্কুটার Yadea M6 শুধু একটি বাহন নয়, এটি প্রতিদিনের যাতায়াতে সাশ্রয়, আরাম এবং আধুনিকতার এক নতুন ঠিকানা। চলুন জেনে নিই, এই স্কুটারটি কেন আপনার জন্য সেরা পছন্দ:

১. অবিশ্বাস্য সাশ্রয় ও দীর্ঘ মাইলেজ:

পেট্রোলের ক্রমবর্ধমান দামের দুশ্চিন্তা এখন অতীত! Yadea M6 স্কুটারটি একবার সম্পূর্ণ চার্জ করতে আপনার সর্বোচ্চ ১৫ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে। আর এই ১৫ টাকার চার্জেই আপনি অনায়াসে পাড়ি দিতে পারবেন ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পথ। অর্থাৎ, প্রতিদিনকার যাতায়াতে এটি আপনার পকেটের ওপর চাপ কমিয়ে নিশ্চিতভাবে টাকা সাশ্রয় করবে।

২. অতুলনীয় আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা:

দীর্ঘক্ষণ বাইক চালানোর পর পিঠে ব্যথা (ব্যাক পেইন) একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু Yadea M6 এই বিষয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত রাখবে। এর বিশেষ নকশার আরামদায়ক সিট এবং সুচিন্তিত এরগোনমিক ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে দীর্ঘপথ চললেও আপনার পিঠে কোনো চাপ বা ব্যথা অনুভব না হয়। অন্যান্য বাইকের তুলনায় এটি নিঃসন্দেহে অধিক আরামদায়ক রাইডের অভিজ্ঞতা দেবে।

৩. পর্যাপ্ত ফুটস্পেস ও স্মার্ট ডিজাইন:

আপনার পা রাখার সুবিধার জন্য Yadea M6 স্কুটারটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রশস্ত জায়গা, যা লম্বা বা খাটো যে কোনো রাইডারের জন্য আরামদায়ক। এর স্লিক ডিজাইন আধুনিকতার ছোঁয়া এনে দেবে আপনার দৈনন্দিন চলাচলে।

৪. শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

চুরির ভয় এখন অনেকটাই কম। Yadea M6-এ ব্যবহার করা হয়েছে একটি উন্নত অ্যান্টি-থেফট লক সিস্টেম। এই শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে, স্কুটারটি লক করা অবস্থায় এটি চুরি হওয়া থেকে অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকবে।

৫. বৃষ্টির দিনেও নিশ্চিন্ত যাত্রা:

ইলেকট্রিক স্কুটার হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বৃষ্টির সময় এর মিটারের কোনো সমস্যা হবে কিনা অথবা স্কুটারটি ভিজে গেলে শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা। এই সকল দুশ্চিন্তা থেকে Yadea M6 আপনাকে মুক্তি দেবে। এর জলরোধী ডিজাইন নিশ্চিত করে যে, বৃষ্টির দিনেও স্কুটারটি নিরাপদে চলবে এবং কোনো ধরনের শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি থাকবে না। আপনি নিশ্চিন্তে বৃষ্টিতেও আপনার Yadea M6 নিয়ে চলাচল করতে পারবেন।

ইয়াদিয়া স্কুটারটির বিল্ড কোয়ালিটি কেমন?

সাধারণত, চীনা ব্র্যান্ড বা পণ্য সম্পর্কে অনেকের মনেই মানের প্রশ্নচিহ্ন থাকে। একটি চীনা কোম্পানি হওয়ায় Yadea নিয়েও এমন ধারণা আসতে পারে। কিন্তু Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটারটি এক্ষেত্রে প্রচলিত সেই ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে ভুল প্রমাণিত করেছে।

Yadea M6-এর বিল্ড কোয়ালিটি সত্যিই প্রশংসনীয় এবং এটি প্রিমিয়াম মানের উপকরণে তৈরি। স্কুটারটির বডি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চমানের ABS প্লাস্টিক, যা সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে অনেক বেশি মজবুত ও টেকসই। এর ফলে স্কুটারটি সহজে ভাঙবে না বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এমনকি দৈনন্দিন ব্যবহারের ছোটখাটো ধাক্কা বা আঘাতও এটি সহজেই সামলে নিতে পারবে। Yadea M6 প্রমাণ করে যে, চীনা পণ্য মানেই মানের সঙ্গে আপস নয়, বরং এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্যতার এক নতুন উদাহরণ।

হেডলাইড

সামনের চাকা

পিছনের চাকা

Yadea কোম্পানি বাংলাদেশে কবে তাদের স্কুটার লঞ্চ করেছে?

Yadea কোম্পানি আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশে ১ জুন লঞ্চ করেছে তাদের ইলেক্ট্রিক স্কুটার। যা বাংলাদেশের মানুষের মনে একটি ছাপ তৈরি করতে পারবে বলে আশা করা যায়। আপনি যখন দেখবেন ইয়াদিয়ার স্কুটার এর সুবিধা গুলো তখন আপনিও ব্যবহার করতে চাইবেন বর্তমান সময় যাতায়াতে খরচ সাশ্রয়ী করার জন্য। 

Yadea M6 ইলেকট্রিক স্কুটারটির স্পেসিফিকেশন

Yadea M6 একটি শক্তিশালী ইলেকট্রিক স্কুটার, যা ১২০০W TTFAR মোটরের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে চলতে পারে। এর প্রধান আকর্ষণ হলো এর ৭২V26AH গ্রাফিন ব্যাটারি, যা এক চার্জে আপনাকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত অসাধারণ রেঞ্জ দেবে। এই ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য, এবং এর মোট ওজন ৪১.২ কেজি।

ব্যবহারকারী-বান্ধব ফিচারের মধ্যে রয়েছে Keyless Start, USB চার্জিং পোর্ট এবং সিটের নিচে পর্যাপ্ত স্টোরেজ। নিরাপত্তার জন্য সামনে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক সংযুক্ত করা হয়েছে। অ্যান্টি-থেফট প্রযুক্তি এবং পার্কিং মোড এটিকে আরও সুরক্ষিত ও সুবিধাজনক করে তোলে। উভয় চাকাই টিউবলেস (3.00-10 4PR) হওয়ায় রাইড মসৃণ ও নিরাপদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *