ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখে ফ্রি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যাতায়াতে ভাতা

Share This Post
ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখে ফ্রি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যাতায়াতে ভাতা

ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখে ফ্রি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যাতায়াতে ভাতা

বন্ধুরা আপনারা অনেকেই ড্রাইভিং শিখতে চান কিন্তু কোথা থেকে একটি মানসম্মত প্রশিক্ষণ এবং একটি ড্রাইভিং সার্টিফিকেট পাবেন সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। দেখেন যদি এরকম কোন জায়গা থেকে বা কোন সুযোগ থাকে যেখান থেকে আপনারা ফ্রিতে ড্রাইভিং শিখতে পারবেন এবং ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শেষে একটি ফ্রি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন এবং সাথে কিছু যাতায়াতের ভাতাও পাবেন তাহলে কেমন হয়?

বন্ধুরা তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলবো যে ড্রাইভিং শেখার গুরুত্ব কি? মানে ড্রাইভিং শিখলে আপনার কি লাভ আছে। কোথা থেকে আপনি ফ্রিতে ড্রাইভিং শিখবেন? এবং ড্রাইভিং শেখার পর কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি ফ্রিতে পাবেন এবং এর ড্রাইভিং শেখার পাশাপাশি আপনি কত টাকা ভাতা পাবেন।

আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

আমাদের দেশের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী কিন্তু এখনও বেকার এবং তাদের কিন্তু কর্মসংস্থানে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই সুতরাং কেউ যদি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেয় এবং এই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শেষে যদি সে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারে তাহলে কিন্তু এই ড্রাইভিং পেশায় সে চাইলে কিন্তু চাকরি করে মাসে ১৫ থেকে ২০,০০০ টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে। এমনকি সে যদি অল্প-শিক্ষিত মানে অষ্টম শ্রেণী পাস ও হয়।

সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বা কয়েকটি ট্রেনিং সেন্টার আছে যেখান থেকে আপনারা একবারে ফ্রীতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টিএসসি বা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার যেটাকে আমরা বাংলায় বলি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আপনারা ৩ মাসের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ এবং সাথে বেসিক অটোমেকানিকস ট্রেনিং আপনারা নিতে পারবেন।

এখানে প্রতিদিন ৫ঘন্টা করে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হয় এখানে কিন্তু ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনি যে জেলা থেকে প্রশিক্ষণ নিতে চান সেই জেলার টিটিসি ওয়েবসাইট আছে সে ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আপনাকে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর যে আবেদন কপি সেই আবেদন কপির সাথে অন্যান্য যে কাগজপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে। সেগুলি একসাথে করে অফিসে যেতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট ডেটে কিন্তু আপনার পরীক্ষা হবে।

এবং এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কিন্তু চূড়ান্ত প্রাপ্তি তারা বাছাই করবে চূড়ান্তভাবে যারা এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে তারা এখান থেকে ৩ মাসের মধ্যে হালকা যান এবং মধ্যম শ্রেণীর যানের প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। তবে যারা মধ্যম শ্রেণীর প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদের যে হালকা লাইসেন্স আছে সে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ অবশ্যই ৩ বছর অতিক্রম করতে হবে।

দেখুন এখানে ভর্তি হতে গেলে কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট কিছু শর্তে এবং কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলি হচ্ছে?

  • আপনাকে অবশ্যই ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে
  • আপনার মিনিমাম অষ্টম শ্রেণী পাশের একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে
  • কাগজপত্র হিসেবে আপনার লাগবে
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
      তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
      শিক্ষাগত যোগ্যতা ফটোকপি

ফ্রিতে সরকারিভাবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার আরেকটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে একমাস মেয়াদি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অর্থাৎ যদি কেউ দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে আপনারা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

এখানেও ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এখানে অর্থাৎ এই যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রীয় কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ নাই। এখানে আপনার একটি নির্দিষ্ট আবেদন ফর্ম আছে। আবেদন ফর্ম তাদের অফিসে পাওয়া যায় সেই অফিস থেকে আবেদন কপি নিয়ে আপনাদের সমস্ত পূরণ করতে হবে অর্থাৎ সেখানে যেই সমস্ত তথ্য আপনার চাওয়া হবে সেই সমস্ত তথ্য আপনাকে সম্পূর্ন পুরণ করতে হবে। পুরণ করে বাকি যে কাগজপত্র গুলি চাবে সেই কাগজপত্রের সাথে আপনাকে অফিসে জমা দিতে হবে।

জমা দেওয়ার পরে এখানেও কিন্তু নিদিষ্ট একটি সময় আপনার পরীক্ষার জন্য ডাকবে হঠাৎ পরীক্ষার মাধ্যমে কিন্তু চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করা হবে। এখানে যারা চূড়ান্তভাবে ভর্তি হবার সুযোগ পাবে বা প্রশিক্ষণ সুযোগ পাবে তারা হালকা এবং মোটরসাইকেলে ২ চাকার মোটর প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।

এখানেও ভর্তি হতে গেলে কিন্তু আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে এবং কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলি হচ্ছে

  • আপনার বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে
  • আপনাকে মিনিমাম অষ্টম শ্রেণী পাশে থাকতে হবে
  • কাগজপত্র হিসেবে লাগবে
    • আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • শিক্ষাগত যোগ্যতা ফটোকপি
    • আপনার বাবা এবং মায়ের আইডি কার্ডের ফটোকপি

এছাড়াও বিআরটিসি মানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের আগে SEIP প্রোগ্রামের আন্ডারের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিত আপাতত সেই প্রোগ্রামটি বন্ধ আছে। ভবিষ্যতে যদি আবার চালু হয় তাহলে সেখান থেকেও আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।

উপরের যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার প্রশিক্ষণ শেষ করলে বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর ব্যাপারে সর্বোত্তক সহযোগিতা করবে এবং আপনি পরীক্ষায় পাশ করার পরে যেই মুল ফি সে মুল ফিও কিন্তু সরকারিভাবে অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদান করা হবে।

ফ্রী ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে আমি এইটাই বুঝাইছি যে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যত ফি লাগে সেই ফি ও সরকারিভাবে প্রদান করে তাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়ে দেয় তবে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন নিজ দায়িত্ব করতে হবে এবং পরীক্ষায় নিজ দায়িত্বে পাস করতে হবে।

যেহেতু আপনি এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং নিবেন সুতরাং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাস করা খুব সহজই হবে দেখুন এ সব প্রতিষ্ঠানে যেহেতু বেশিরভাগ বেকার লোকেরাই প্রশিক্ষণ নেয় সুতরাং তাদের যাতায়াত ভাড়া হিসেবে প্রতিদিন উপস্থিতি হিসেবে ১০০টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এছাড়াও তো আমি উপরে বললামই যে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সে যে সরকারি ফি টি সরকারি ফ্রি ও সরকারিভাবে এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদান করা হয়।

যারা বেকার আছেন তারা কিছু করতে চান অথবা যাদের একটু আর্থিক সমস্যা আছে তারা কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে অর্থাৎ তাদের যে ওয়েবসাইট আছে বা তাদের অফিস আছে। অফিসে যোগাযোগ করে কখন ভর্তি হওয়া যায় তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

এবং প্রশিক্ষণ শেষে আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পান। তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই এই ড্রাইভিং ক্ষেত্রে চাকরি করে আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০,০০০টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *