
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ২০২৪-২০২৫
বন্ধুরা বর্তমানে কিন্তু প্রত্যেকেরই হয়তো শখের একটি গাড়ি রয়েছে অথবা কাজের জন্য। তবে আপনার গাড়িটি বৈধ পথে চালানোর জন্য অবশ্যই বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। তাই বর্তমান অনেকেরই জানা নাই যে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়? ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে? এই ধরনের অনেক প্রশ্ন নিজের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই আজকে আমি আপনার নিজের সমস্যার সমাধান করার জন্য পোস্টে লিখেছি।
আপনার যে সকল প্রশ্ন!!
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তাই আপনাকে অনলাইনে সকল কাগজপত্রের ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে ফ্রি রয়েছে সেই ফ্রি প্রদান করতে হবে অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমে। তারপরেই সকল প্রসেসিং সম্পূর্ণ হওয়ার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অনলাইন কপি চলে আসে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
- এনআইডি কার্ড (জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট কার্ড দিয়ে হবে না)।
- অষ্টম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট [ যদি না থাকে তাহলে আপনি যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে থাকেন বা পড়তেছেন তাহলে সেই স্কুল থেকে প্রশংসাপত্র আনতে হবে এবং আপনি প্রশংসা পত্র দিয়েও আবেদন করতে পারবেন।
- পেশাদার বা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অবশ্যই মেডিকেল ফর্ম সার্টিফিকেট প্রয়োজন। [ যদি না থাকে তাহলে আপনি বিআরটিএ সেবা বাতায়ন থেকে অনলাইন কপি ডাউনলোড করে একজন রেজিস্টার ডাক্তারের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে এবং আপনার একটি ছবি লাগিয়ে আপলোড করতে পারবেন]
- ঠিকানার পরিচয় দেওয়ার জন্য (বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল) যেকোন একটা দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সকল ডকুমেন্টের সাইজ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সকল ডকুমেন্টের সাইজ হবে 600KBS এর মধ্য।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য জাল কাগজপত্র দিলে কি সাজা হতে পারে?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনি কোন প্রকার ভুয়া বা জাল কাগজপত্র যুক্ত করতে পারবেন না। যদি আপনি কোন প্রকার ভুয়া বা জাল কাগজপত্র যুক্ত করেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে বিআরটিএ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। তারা স্পষ্ট করে বলে দিছে অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুল তথ্য বা জাল সংযুক্তি প্রদান করা হলে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কখনোই ভুয়া তথ্য বা কাগজপত্র জমা দেবেন না।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইনে আবেদন নিয়ম
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনি মোবাইল অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমানে মোবাইল ইউজার বেশি রয়েছে তাই নিচে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন কিভাবে করবেন সে বিষয়ে দেখাবো। আপনি এই নিয়মে ঠিক কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়েও করতে পারবেন।
- প্রথমে আপনি উপরে লিংকে ক্লিক করুন অথবা যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করুন “bsp.brta.gov.bd” লিখে।
- তারপর সবার প্রথম ” নিবন্ধন ” একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
- তারপর আপনার কাছে নিবন্ধন করার একটি পেজ চলে আসবে সেখানে আপনি পূরণ করুন।
- জন্ম তারিখ
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
মোবাইল নাম্বার
- জন্ম তারিখ

এইসকল তথ্য দিয়ে আপনি অনুসন্ধানে ক্লিক করুন। তারপর এখানে যে মোবাইল নাম্বারটি দিবেন সেই মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড দেবে। সেই ওটিপি করতে যাচাই করুন।
ওটিপি দেওয়ার পর আপনার কাছে দুটি অপশন আসবে পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য। আপনি প্রথম ঘরে যে পাসওয়ার্ড দিবেন সেটি আবার দ্বিতীয় ঘরে এই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। তারপর আপনি “নিবন্ধন করুন” এই অপশনে ক্লিক করুন।
- তারপর আপনি” লগইন ” অপশনে চলে যাবেন এবং সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন।

তারপর আপনাকে হোম পেজে নিয়ে আসবে এবং সেখানে উপরে ডানপাশে একটি মেনু অপশন দেখবেন সেখানে ক্লিক করে প্রোফাইলে চলে আসবেন। তারপর প্রোফাইল থেকে রিফ্রেস করে আপনার সকল তথ্য হালনাগাদ করে নিবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
- আপনার প্রোফাইল অপশন থেকে উপরে বাম পাশে থ্রি-ডট মেনুতে ক্লিক করুন।
- তারপর ” ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ” অপসনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে আসুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনে আপনি কিছু সত্যবলি নির্দেশনা দেখতে পারবেন এবং তার নিচে চলে যাবেন। যদি আপনি এই সত্য বলিতে সম্মতি হন তাহলে নিচে সম্মতিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে ফরম ফিলাপের জন্য পরবর্তী পেজে নিয়ে আসবে।
আপনি যখন আপনার প্রোফাইলটা সম্পূর্ণভাবে সঠিকভাবে তথ্যগুলো দিবেন সেই তথ্যগুলো আপনার কাছে শো করবে। যদি কোথাও ভুল দেখেন তাহলে আপনি সংশোধন করে নিবেন। যদি সবকিছু তথ্য সঠিক থাকে তাহলে আপনি “নেক্সট” বাটনে ক্লিক করুন।

- পরবর্তী পেজে আবেদনকারীর প্রাথমিক যে তথ্যগুলো রয়েছে সেই তথ্যগুলো আপনাকে দিতে হবে তারপর আপনি “নেক্সট” বাটনে ক্লিক করবেন।
- তারপর পরবর্তী পেজে আবারো নিয়ে যাবে সেখানে আপনার ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- এর পরের পেজ আসবে সেখানে সংযুক্তি এবং কাঠ বিতরণ এর তথ্য সঠিকভাবে ফাইলগুলো আপলোড করতে হবে।
আপনার সকল তথ্যগুলো সম্পূর্ণভাবে পূরণ এবং আপনার সকল ফাইল ডকুমেন্টগুলো আপলোড করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করবেন। যদি আপনি সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করেন তাহলে কিন্তু আপনার কাছে লানার লাইসেন্স সাকসেসফুল এরকম একটি অপশন চলে আসবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সে অনলাইন ফি প্রদান
আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া প্রোফাইল পেইজের নিচের দেখে পেয়ে যাবেন পেমেন্ট অপশন। সেখানে গিয়ে আপনার যে পরিমান ফি তারা নিবে সেটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
ফি প্রদান করার পরে আপনার প্রাথমিক আবেদনের যে প্রিনেন্ট কপি রয়েছে সেটি প্রিন্ট করে নেবেন অথবা আপনার মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখবেন পিডিএফ ফাইলটি।
আরো পড়ুনঃ নতুন মুভি ফ্রি ডাউনলোড করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট
এখন এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে সেই তারিখ মোতাবেক আপনাকে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে। যদি আপনি এই পরীক্ষাগুলো উত্তীর্ণ হন তাহলে কিন্তু আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
বন্ধুরা আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র ছিল কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন সম্পন্নভাবে করবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন।